কলকাতা: রবিবাসরীয় বিকালে সম্প্রীতির (Harmony) মহামিছিল হল রিষড়ার (Rishra) ঘটনা নিয়ে। বামপন্থী দলগুলির ডাকে কোন্নগর (Konnagar) বাটার মোড় থেকে উত্তরপাড়ার (Uttarpara) গৌরী সিনেমা হল পর্যন্ত এই মিছিলে সিপিএম, আরএসপি, ফরওয়ার্ড ব্লক সিপিআই ছাড়াও যোগ দেয় এসইউসিআই ও সি পি আই এম এল। মিছিলে পা মিলিয়েছেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম (Md Selim), রাজ্য বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু (Biman Basu) সহ অন্যান্য নেতৃত্বরা।
মহম্মদ সেলিম বলেন, গোটা রাজ্যের মানুষ শান্তি (Peace) চায়। তাঁরা চোর জোচ্চোর গুন্ডা বদমায়েশ সাম্প্রদায়িকদের বিরুদ্ধে লড়তে চায়। ধর্মের নামে যারা হানাহানি করছে তাদের বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমেছে মানুষ। জেলায় জেলায় নামছে। প্রতিদিন নামছে। আজ হুগলিতে, কালকে হাওড়ায় নামবে। আমাদের রাজ্যে এই সংস্কৃতি আগে ছিল না। উৎসব মানে মিলন উৎসব। মানুষকে আলিঙ্গন করা কোলাকুলি করা। তরোয়াল, ত্রিশূল, বন্দুক, পিস্তল নিয়ে ধর্মীয় জিগির তুলে আসলে ভোট বাড়ানোর যে ফিকির তাকে মানুষ ধিক্কার জানাচ্ছে। পুলিশের সামনে এ ধরনের ঘটনা ঘটলে সেটা ব্যর্থতা। বাবরি ধ্বংসের পর ৯২ সালে পুলিশকে সারাদেশে আধুনিক করা হয়েছে। দাঙ্গা থামাতে রাজ্য সরকার ও কেন্দ্রীয় সরকার ব্যর্থ। সেজন্য আদালতকে মাথা ঘামাতে হচ্ছে। রামনবমীর (Ramnavami) মিছিল থেকে হামলার ঘটনা নিয়ে আল-কায়দার হুমকি প্রসঙ্গে সেলিম বলেন, যাহা ৫২ তাহাই ৫৩। আল কায়দা আরএসএস, আইসিস, এরা সব ধর্মের নামে নিজেদের লেজ মোটা করতে চাইছে।মঞ্চে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিমান বসু বলেন , হাওড়া শিবপুরে অশান্তি হবে মুখ্যমন্ত্রী নাকি একমাস আগে গন্ধ পেয়েছিলেন। তাহলে গোয়েন্দা লাগিয়ে সেটা আটকালেন না কেন? অশান্তি তো অঙ্কুরেই ঠেকানো যেত। দিল্লি থেকে আসা ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমকে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না কেন? কী লুকনোর আছে?
আরও পড়ুন: Sunil Grover | Kapil Sharma | কপিল শর্মা শো-তে ফিরছেন সুনীল গ্রোভার? কী বলছেন অভিনেতা
উল্লেখ্য, রামবমীর মিছিলে হামলা করা হয়েছিল বলে সম্প্রতি অভিযোগ উঠেছিল রিষড়াতে। পাল্টা অভিযোগ উঠেছিল মিছিল থেকে হামলা চালানো হয়। সেই ঘটনায় সরগরম হয়ে উঠেছিল রাজ্যরাজনীতি। ঘটনায় বিজেপির জনপ্রতিনিধি আহত হয় বলে অভিযোগ ওঠে। তা নিয়ে রিপোর্ট চেয়ে পাঠায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। শনিবার রাজ্যে পৌঁছন পাটনা হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি নরসিমা রেড্ডি সহ কমিটির ৬ সদস্য। তাঁরা রিষড়া গিয়েছিলেন। দ্বিতীয় হুগলি সেতুর টোলপ্লাজায় কমিটির সদস্যদের ঢুকতে বাধা দেয় পুলিশ। তাঁদের বলা হয় অশান্তি যেখানে হয়েছে সেই এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে। অনুমতি না পেয়ে শেষ পর্যন্ত কলকাতা ফিরে যান ওই টিমের সদস্যরা। বিষয়টি তাঁরা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে জানাবেন বলে জানিয়েছেন।