বেঙ্গালুরু: কর্নাটক বিধানসভা নির্বাচনে (Karnataka Assembly Election) বড় জয় পেয়েছে কংগ্রেস। ফলাফল স্পষ্ট হতেই মুখ্যমন্ত্রী পদে কে বসবেন, তা নিয়ে জল্পনা চলছিলই। ফলপ্রকাশের পর অবশেষে শনিবার রাতে সামনে এল মুখ্যমন্ত্রীর নাম। কর্নাটকের (Karnataka) মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন সিদ্দারামাইয়া (Siddaramaiah)! উপমুখ্যমন্ত্রী ৩ জন। এমনটাই খবর কংগ্রেস সূত্রের। এদিকে কর্নাটকের ফল প্রকাশ্যে আসার পরই রাহুল গান্ধি বলেন, কর্নাটকে ঘৃণার বাজার বন্ধ। এখন ভালবাসার সময় শুরু হল। এটা সত্যের জিত। এটা কর্নাটকের জনগণের জয়। কর্নাটকে বিধানসভার প্রচারে আমরা জনগণের কাছে ৫টা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম। আমরা মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকে সেই ৫টা প্রতিশ্রুতি পূরণ করব।
এদিন সকালেই সিদ্দারামাইয়া-পুত্র যতীন সিদ্দারামাইয়া বলেন, “আমরা সরকার গড়ার জন্য কর্নাটকের জনতার পূর্ণ সমর্থন পেয়েছি। আমরা একক ক্ষমতাতেই রাজ্যে সরকার গঠন করব।” তিনি আরও বলেন, “বিজেপিকে ক্ষমতা থেকে দূরে রাখার জন্য যা যা করা দরকার, সবই আমরা করব। এ ক্ষেত্রে আমার বাবার মুখ্যমন্ত্রী হওয়া উচিত।”
আরও পড়ুন:Abhishek Banerjee | মন্তেশ্বরে অভিষেকের সভার পরে ফের ভোট নিয়ে ধস্তাধস্তি
কর্নাটক জয় উচ্ছ্বসিত প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। তিনি বলেন, “এটা রাজনীতির জয়। এই জয় গোটা ভারতকে একসূত্রে গাঁথবে।” কর্নাটকের সহকর্মীদের অভিনন্দন জানালেন কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুর। মেরুকরণের রাজনীতিকে রুখে দিয়েছে জনতা। স্থানীয় সমস্যাগুলোই এখানে ভোটদানের ক্ষেত্রে গুরুত্ব পেয়েছে। যা প্রত্যাশা করেছিলাম, তাই পেয়েছি। কর্নাটক জয়ের জন্য কংগ্রেসকে শুভেচ্ছা জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মানুষের মনবাঞ্ছা পূরণ করার জন্য কংগ্রেসকে অভিনন্দন জানালেন তিনি।
২০১৩ সালে এই কেন্দ্র থেকে জিতেই কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন সিদ্দারামাইয়া। ২০২৩ সালে আবারও সেই কেন্দ্র থেকে জিতেছেন তিনি। আর ভোটের লড়াই থেকে সরে দাঁড়িয়ে ৭৫ বছরের পিতাকে মুখ্যমন্ত্রী পদে বসাতে জোর তৎপরতা শুরু করেছেন পুত্র। ২০১৮ সালে বরুণা বিধানসভাটি ছেলেকে ছেড়ে দু’টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন প্রবীণ এই কংগ্রেস নেতা। চামুণ্ডেশ্বরী আসন থেকে হেরে গেলেও, বাদামি থেকে জিতেছিলেন সিদ্দারামাইয়া। কিন্তু সে বার কংগ্রেস নেতৃত্ব মুখ্যমন্ত্রীর আসন জোটের স্বার্থে জেডি (এস) নেতা কুমারস্বামীকে ছেড়ে দেওয়ায় মুখ্যমন্ত্রী হতে পারেননি তিনি। কিন্তু এ বার পরিস্থিতি ভিন্ন। কংগ্রেস একাই ভোটে লড়াই করেছে। জেডিএস ভোটের ময়দানে আলাদা লড়াই করেছে। কংগ্রেস একাই নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে। সরকার গড়তে তাদের কারও সাহায্য লাগবে না। সিদ্দারমাইয়ার সঙ্গে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ডি কে শিবকুমারের গোলমাল রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সির লড়াইয়ে তিনিও ছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কংগ্রেস হাই কমান্ড সিদ্দারামাইয়াকেই মুখ্যমন্ত্রী পদে বেছে নিল।