ভারতীয় বুদ্ধিজীবীদের ভারত-বিরোধী বলা খ্যাতনামা সমাজতাত্ত্বিকের নামও আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়ার বিদেশি চরের তালিকায় আছে। সামান্য কিছুদিনের জন্য ভারতীয় একটি সংবাদমাধ্যমে উপদেষ্টা হিসেবে চুক্তির ভিত্তিতে কাজ করেছিলেন সালভাতোর বাবোনেজ। আর তার জন্য আমেরিকা ও অস্ট্রেলিয়ার বিদেশি চরের খাতায় তাঁরও ওই তকমা জুটেছে বলে জানিয়েছেন বিশিষ্ট এই সমাজতাত্ত্বিক। দি প্রিন্টকে তিনি একথা জানিয়েছেন।
অস্ট্রেলিয়ার সমাজতাত্ত্বিক ডঃ সালভাতোর বাবোনেজ গত শনিবার মুম্বইয়ে ইন্ডিয়া টুডে-র আলোচনাসভায় ভারতের বুদ্ধিজীবী শ্রেণিকে দেশ-বিরোধী বলে মন্তব্য করেছিলেন। তিনিই বলেছেন, মার্কিন বিচার মন্ত্রক এবং অস্ট্রেলিয়া সরকারের খাতায় বিদেশি গুপ্তচর হিসেবে তাঁরও নাম রয়েছে। তার কারণ হিসেবে তিনি জানান, উত্তরপ্রদেশের একটি সংবাদ মাধ্যমে মাত্র কিছুদিনের জন্য উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করার সুবাদে তাঁর ওই তকমা জুটেছে।
আরও পড়ুন: Mobile Fraud:মোবাইলে মেসেজ পাঠিয়ে শিক্ষিকার অ্যাকাউন্ট থেকে লক্ষাধিক টাকা প্রতারণা
বাবোনেজ জানান, ২০২০ সালে নয়ডাস্থিত ডেমোক্র্যাসি নিউজ লাইভ নামে একটি সংস্থা খুব সামান্যদিনের জন্য কাজ করেছিলেন তিনি। চার হাজার ডলারের চুক্তিতে তিনি কাজটি করেছিলেন। প্রিন্টকে তিনি বলেন, ৬ মাসেরও কম সময়ের জন্য উপদেষ্টা হিসেবে একটা ছোট্ট কাজ করেছিলাম। ওরা আমাকে পশ্চিমী দুনিয়ায় দর্শক বাড়ানোর জন্য কী করা উচিত, এ ব্যাপারে পরামর্শ দেওয়ার কথা বলেছিল। পশ্চিমী পাঠকদের জন্য কোন ধরনের নিবন্ধ লিখলে তা বৃহত্তর সমাজের কাছে পৌঁছবে।
বাবোনেজ তাদের এইসব ব্যাপারে পরামর্শ দিয়েছিলেন। এরপর সেই কোম্পানির সঙ্গে তাঁর আরও কোনও যোগাযোগ নেই। এটা নিয়ে কাউকে আর কিছু বলেননি তিনি। তবে এটা জানা গিয়েছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যদি কোনও ব্যক্তি বা সংস্থা বিদেশি কোনও রাষ্ট্রের বিষয়ে অতিরিক্ত উৎসাহ দেখায় কিংবা বিদেশি কোনও দেশের পক্ষে মুরুব্বিয়ানার চেষ্টা করেন, তাহলে তাঁকে বা সেই সংস্থাকে বিদেশি চর হিসেবে গণ্য করা হয়। এ ব্যাপারে ফরেন এজেন্টস রেজিস্ট্রেশন অ্যাক্ট বা FARA (১৯৩৮) বলে একটি আইনও রয়েছে।
একইভাবে অস্ট্রেলিয়ায় রয়েছে ফরেন ইনফ্লুয়েন্স ট্রান্সপারেন্সি স্কিম (FITS)। ডেমোক্র্যাটিক নিউজ লাইভ সরকার পোষিত কিনা প্রশ্নের জবাবে মার্কিন নাগরিক বাবোনেজ বলেন, ওদের সম্পর্কে বিশেষ কিছুই জানি না।