নয়াদিল্লি, ১৭ জুলাই: গণবিক্ষোভে জ্বলতে থাকা শ্রীলঙ্কার সঙ্গে কী পথে এগবে কূটনৈতিক সম্পর্ক? সেই রূপরেখা ঠিক করতে মঙ্গলবার সর্বদল বৈঠক ডাকল মোদি সরকার। রবিবার বাদল অধিবেশন শুরুর আগে ডাকা সর্বদল বৈঠকের পরই মঙ্গলবারের বৈঠকের বিষয়ে জানান সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশী। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন ও বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের নেতৃত্বে এই বৈঠক হবে।
প্রায় এক মাসের বেশি সময় ধরে চলা গণবিক্ষোভের আগুনে তপ্ত দ্বীপরাষ্ট্র। শ্রীলঙ্কায় বহু ভারতীয় কাজের সন্ধানে যান। আবার প্রতিবেশি শ্রীলঙ্কার সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ভারতের। কী ভাবে আগামী দিনে এই দুই প্রতিবেশি রাষ্ট্রের সম্পর্কের সমীকরণ এগবে, তার রূপরেখা ঠিক করতেই মঙ্গলবারের বৈঠক বলে মনে করা হচ্ছে।
আগামী বুধবার শ্রীলঙ্কায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। সেদিন সাংসদরা গোপন ব্যালটে ভোট দেবেন। বর্তমান পরিস্থিতিতে পুরো মেয়াদের প্রেসিডেন্ট বাছা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন স্পিকার মাহিন্দা ইয়াপা আবেবর্ধনে। আর্থিক অনটনে আটকে পড়া শ্রীলঙ্কা এই মুহূর্তে ফুঁসছে গণআন্দোলনে। জনগণের চাপে দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষে। রাজাপক্ষের স্থলাভিষিক্ত হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন সাজিথ প্রেমাদাসা। ১৯৭৮-এ দেশের প্রধানমন্ত্রী রণসিঙ্ঘে প্রেমাদাসার পুত্র সাজিথের পক্ষেই পাল্লা ভারী । এছাড়াও এছাড়াও প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন মার্ক্সবাদী জেভিপি নেত্রী অনুরা কুমারা দেশনায়কে এবং শাসকদল এসএলপিপি থেকে বেরিয়ে আসা দুলাস আলহাপেরুমা। সেই প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগের দিনই সর্বদল বৈঠক ডাকল কেন্দ্র।