কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: ঋণজর্জর শ্রীলঙ্কাকে আর্থিকভাবে টেনে তুলতে উদ্যোগী জাপান। এজন্য তারা শ্রীলঙ্কাকে ঋণদানকারী বড় দেশগুলিকে এক মঞ্চে বসানোর তোড়জোড় করছে। তবে, ঋণ-হাঙর চীনকে এই প্রয়াসে যুক্ত করা যাবে কিনা তা নিয়ে যথেষ্ট সংশয় রয়েছে।
জাপানের আশা, এই ধরনের সম্মেলন সফল হলে দক্ষিণ এশিয়ার ক্ষুদ্র দ্বীপরাষ্ট্রটি ঋণ সংকট থেকে উদ্ধার পেতে পারে। স্বাধীনতা পরবর্তী শ্রীলঙ্কা এখন বিরাট বৈদেশিক ঋণের ভারে নুয়ে পড়েছে। জাতীয় আয়ের থেকেও ১১৪ শতাংশ অতিরিক্ত বৈদেশিক ঋণের বোঝা রয়েছে কলম্বোর উপর। যার মধ্যে বড় পাওনাদার হচ্ছে চীন। যে কারণে তাদের এই সম্মেলনে যোগদান করানোটাই জাপানের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ। বিশেষত দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলে চীনের ‘দাদাগিরি’তেও লাগাম টানতে চায় টোকিও-নেতৃত্ব। তাই এই সম্মেলন আদৌ সম্ভব হবে কি না, তা নিয়েও শুরুতেই মেঘ ঘনিয়ে এসেছে।
২০২০ সালেই শ্রীলঙ্কার কাছে চীনের ঋণের পরিমাণ প্রায় ৬২০ কোটি মার্কিন ডলার ছাড়িয়েছে। কলম্বোর কাছে এরপরেই পাওনাদার হিসেবে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে জাপান। যাদের ঋণের পরিমাণ প্রায় ৩০০ কোটি ডলার। শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমসিঙ্ঘে আগেই জানিয়েছিলেন যে, তিনি দেশের আর্থিক পুনর্গঠনের ব্যাপারে জাপানের সঙ্গে কথা বলবেন। তিনি এ ব্যাপারে জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার সঙ্গে আলোচনা করবেন। এই অবস্থায় জাপানেরও লক্ষ্য হচ্ছে, তাদের ৩০০ কোটি ডলার উদ্ধার করা। তার চেয়েও তারা বেশি করে আগ্রহী এই অঞ্চলে চীনের একক শক্তিবৃদ্ধিতে রাশ টানা।
আরও পড়ুন: Ghulam Nabi Azad: বড় ধাক্কা! এবার কংগ্রেস ছাড়লেন গুলাম নবি আজাদ
আর্থিক বিষয়ে পরামর্শদানকারী প্রখ্যাত মার্কিন সংস্থা এস অ্যান্ড পি গ্লোবাল এই মাসে শ্রীলঙ্কা সরকারকে তাদের তালিকায় অনেক নীচে নামিয়ে এনেছে। যার মূল কারণই হল সুদেমূলে শ্রীলঙ্কা ঋণশোধ করতে না পারা। গত বুধবার আন্তর্জাতিক অর্থ ভাণ্ডারের একটি দল বিক্রমসিঙ্ঘের সঙ্গে দেখা করে এবং ২৯০০ কোটি ডলারের ঋণ থেকে মুক্তির বিষয়ে আলোচনা করে। বিক্রমসিঙ্ঘে আইএমএফের কাছে ৩০০ কোটি ডলার সাহায্য হিসেবে চেয়েছেন। ওইদিনই তিনি জাপানের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গেও দেখা করেন।
এ বিষয়ে চীনের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র সংবাদ সংস্থা রয়টারকে জানিয়েছেন, আর্থিক সংকটে জর্জরিত শ্রীলঙ্কার ঋণভার কমানোর বিষয়ে তারাও আগ্রহী। এর জন্য তারা সংশ্লিষ্ট দেশ ও আন্তর্জাতিক অর্থ সংস্থাগুলির সঙ্গেও আলোচনায় আগ্রহী।