জলপাইগুড়ি: উড়ল লাল আবির, সঙ্গে মিষ্টি মুখ। না, কোনও ভোটে জেতার আনন্দে নয়। ১০ মার্চ কর্মবিরতিতে যোগ দেওয়ার জন্য শোকজের জবার দিতে এসে স্কুল ইন্সপেক্টরের দফতরে লাল আবির খেলায় মাতলেন বামপন্থী শিক্ষক সংগঠন নিখিল বঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির (Nikhil Banga Shikshak Samiti) সদস্যরা। এই দৃশ্য কেবল জলপাইগুড়ি সদর পুর্ব এবং পশ্চিম মণ্ডলেই নয়, জেলার ১৮টি সার্কেলেই এক চিত্র দেখা গিয়েছে।
গত ১০ মার্চ সরকারি কর্মচারীদের সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ বকেয়া ডিএ (Dearness Allowance)-র দাবিতে ধর্মঘটের (Strike) ডাক দিয়েছিল। সেই ধর্মঘটে সারা রাজ্যের বহু শিক্ষক- শিক্ষিকা শামিল হন। সরকার হুমকি দিয়েছিল, ধর্মঘটের দিন অনুপস্থিত থাকলে শোকজ করা হবে, হুমকি দিয়েছিল কাটা হবে একদিনের বেতনও। স্কুলে স্কুলে শিক্ষা দফতর এখন সেই শোকজ চিঠি পাঠাতে শুরু করেছে, অনেকে তা পেয়েও গিয়েছেন। শুক্রবার শোকজের জবাব দিতে এসেই জলপাইগুড়িতে নিখিল বঙ্গ প্রাথমিক এদিকে ধর্মঘটের দিন বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত থাকার কারণে স্কুল শিক্ষক- শিক্ষিকাদের শোকজ করে রাজ্য সরকার। শুক্রবার সেই শোকজের উত্তর দিতে আসা নিখিল বঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সদস্যরা একেবারে উৎসবের মেজাজে ছিলেন। তাঁদের লাল আবির মাখতেও দেখা গিয়েছে এসআই অফিসে।
আরও পড়ুন: Recruitment Scam: নিয়োগ দুর্নীতিতে পার্থ মাস্টারমশাই, আদালতে দাবি ইডির
তবে শোকজের উত্তর দিতে এলেও জেলার বেশ কিছু সার্কেলে তা নেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন সমিতির জেলা সম্পাদক বিপ্লব ঝাঁ। তিনি বলেন, সরকারি নির্দেশ অমান্য করে ধর্মঘটে শামিল হওয়ার অপরাধে জেলার প্রায় এক হাজার শিক্ষককে শোকজ করা হয়েছে। জেলার ১৮টি সার্কেল অফিসে শোকজের উত্তর দেওয়ার জন্য শিক্ষক শিক্ষিকারা হাজির হন, সেখানে দফতরের কেউ ছিলেন না। ফলে জবাবি চিঠি অনেকেই দিতে পারেননি। রাজগঞ্জ, ধুপগুড়ি সহ বিভিন্ন জায়গার সার্কেল অফিসে শিক্ষক শিক্ষিকারা অবস্থান বিক্ষোভও শুরু করে দেন ৷ বিপ্লব জানান, তাঁদের ধর্মঘট যেহেতু সফল হয়েছে তাই শোকজের উত্তর দিতে এসে তাঁরা আজ লাল আবির মেখে ও মিষ্টি মুখ করে নৈতিক জয়ের উৎসব পালন করলেন।