কলকাতা: মেদিনীপুরের পাশকুঁড়ার একটি মামলার সূত্রে রাজ্য পুলিসের কড়া সমালোচনা করলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। তাঁর মন্তব্য, রাজ্যের পুলিস কাজ করতে না পারলে দরকার হলে আধা সেনা কিংবা কেন্দ্রীয় বাহিনী নামাব। হাইকোর্টের নির্দেশ কার্যকর করতে বাধা দিচ্ছেন স্থানীয় রাজনৈতিক প্রভাবশালীরা। এলাকার মহিলা ও শিশুদের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। প্রভাবশালীদের ভয়ে পুলিস এলাকা থেকে পালিয়ে আসছে। সব দেখেশুনে আদালত স্তম্ভিত এবং বিস্মিত।
পাশকুঁড়ায় কোলাঘাট-মেদিনীপুর সড়কের পাশে দক্ষিণ গোপালপুর মৌজায় এক ব্যক্তির জমি দখল করে শাসকদলের শ্রমিক সংগঠনের অফিস বানানো হয় বলে অভিযোগ। পুলিসের রিপোর্টেও স্পষ্ট, জমি জবরদখল করেই ওই অফিস করা হয়েছে। জমির মালিক শেখ গোলাম মইনুদ্দিন দখল রুখতে হাইকোর্টে মামলা করেন। আদালত পাশকুঁড়া পুলিসকে জমি দখলমুক্ত করার নির্দেশ দেয়।
স্থানীয় সূত্রের খবর, আদালতের নির্দেশ কার্যকর করতে যায় পূর্ত দফতর, সঙ্গে ছিল পুলিসও। স্থানীয় রাজনৈতিক প্রভাবশালীদের মদতে মহিলা ও শিশুদের ঢাল হিসেবে রেখে পুলিসকে বাধা দেওয়া হয়। হুমকি শুনে এলাকা থেকে পালিয়ে আসে পুলিস। আদালতের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও কেন জমি দখলমুক্ত করতে পারল না পুলিস, বিচারপতি সেই প্রশ্ন তুলে পূর্ব মেদিনীপুরের পুলিসকে মঙ্গলবার এক হাত নেন বিচারপতি।
আরও পড়ুন: Partha Chatterjee: অর্পিতার কালো ডায়েরিতে দ্বিতীয় হাতের লেখা কার, খুঁজছে ইডি
আদালতের নির্দেশ, ১০ অগাস্ট জেলার পুলিস সুপারকে এজলাসে হাজিরা দিতে হবে। ওই সময়ের মধ্যে পুলিসকে জমি দখলমুক্ত করতে হবে বলে আদালত জানিয়ে দিয়েছে। গত মার্চ মাসে হাইকোর্ট পূর্ত বিভাগ এবং পুলিসকে ওই জমি দখলমুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছিল। এতদিন পরও তা না হওয়ায় পুলিসকে আদালতের তোপের মুখে পড়তে হয়।