লখনউ: শেষ দফার ভোটের আগে উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh Assembly Election 2022) বারাণসীতে গিয়ে হেনস্তার শিকার হতে হয়েছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Varanasi Mamata Banerjee)৷ বিজেপি সমর্থকেরা তাঁকে ঘিরে দেখায় কালো পতাকা৷ স্লোগান দিয়েছিলেন ফিরে যাওয়ার৷ জবাবে প্রচারের মঞ্চ থেকে তৃণমূল নেত্রী বলেছিলেন, উত্তরপ্রদেশের মা-বোনেরা আমার অপমানের বদলা নেবে৷ যোগী-মোদিদের ছুড়ে ফেলবে৷ টানটান উত্তেজনার মধ্যে শেষ হয় ভোটপ্রচার৷ আজ সোমবার সেই বারাণসীতে শুরু হয়েছে ভোটগ্রহণ৷ সকালে টুইট করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি শেষ দফায় ভোটারদের উৎসাহের সঙ্গে লোকতন্ত্রের এই মহাযজ্ঞে শামিল হয়ে রেকর্ড সংখ্যায় ভোটদানের আর্জি জানিয়েছেন৷
उत्तर प्रदेश में आज लोकतंत्र के महायज्ञ की पूर्णाहुति का दिन है। सभी मतदाताओं से मेरा आग्रह है कि वे विधानसभा चुनाव के सातवें और आखिरी चरण के मतदान में पूरे जोश-खरोश से भाग लें और वोटिंग का नया रिकॉर्ड बनाएं।
— Narendra Modi (@narendramodi) March 7, 2022
সপ্তম তথা শেষ দফার ভোটগ্রহণ শুরু হল উত্তরপ্রদেশে৷ সোমবার সকাল সাতটা থেকে রাজ্যের নয়টি জেলার ৫৪টি আসনে শুরু হয় ভোট গ্রহণ৷ উল্লেখযোগ্য কেন্দ্রগুলির মধ্যে রয়েছে আজমগড়, মৌ, জৈনপুর, গাজিপুর, মির্জাপুর, সোনভদ্র৷ তবে রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে বারাণসী নিয়ে বাড়তি উত্তেজনা ছিল৷ কারণটা অবশ্যই নরেন্দ্র মোদি৷ বারাণসী প্রধানমন্ত্রীর লোকসভা কেন্দ্র৷ সেখানে ভালো ফলের আশায় সব বিরোধীরাই প্রচারে সর্বশক্তি দিয়ে ঝাঁপিয়েছিল৷
আজ ২.০৬ কোটি ভোটারের হাতে ভাগ্যপরীক্ষা হবে ৬১৩ জন প্রার্থীর৷ হেভিওয়েটদের মধ্যে রয়েছেন রাজ্যের তিনমন্ত্রী৷ তিনজনই প্রার্থী হয়েছেন বারাণসীর বিভিন্ন কেন্দ্রে৷ পর্যটন মন্ত্রী নীলকান্ত তিওয়ারি লড়ছেন বারাণসী দক্ষিণ থেকে৷ শিবপুর থেকে ভোটে দাঁড়িয়েছেন অনিল রাজভর এবং বারাণসী উত্তরের প্রার্থী হয়েছেন রবীন্দ্র জয়সওয়াল৷ ২০১৭ সালে ৫৪টির মধ্যে বিজেপি, আপনা দল এবং এসবিএসপি মিলে জিতেছিল ২৯টি আসন৷ সমাজবাদী পার্টি জয়ী হয়েছিল ১১টি আসনে৷ বিএসপি-র ঝুলিতে গিয়েছিল ৬টি আসন৷
আরও পড়ুন: Russia-Ukraine war news: ইউক্রেন আত্মসমর্পণ করলেই রাশিয়া যুদ্ধ বন্ধ করবে: পুতিন
শেষ দফার ভোটে বিশাল পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে ৫৪টি কেন্দ্রে৷ ৬০ হাজার পুলিস এবং ৮৪৫ কোম্পানি আধা সেনা রয়েছে ভোটের নিরাপত্তার দায়িত্বে৷ ৭০১টি এলাকাকে স্পর্শকাতর বলে আগেই চিহ্নিত করা হয়েছিল৷ এছাড়া ৩৩৫৯টি বুথকে সংকটপূর্ণ বলে জানিয়েছিল পুলিস৷ ওই সব এলাকায় বাড়তি নিরাপত্তার আয়োজন করা হয়েছে৷ এছাড়া প্রতিটি বুথেই থাকছে সশস্ত্র পুলিস ও আধা সেনা৷ ইভিএম নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছে ৬ কোম্পানি সেনা৷