ইম্ফল: বিজেপি বিধায়ক ভুংজাগিন ভালতে (BJP MLA Vungzagin Valte) উপর ক্ষিপ্ত জনতা হামলা চালায়। গাড়ি থেকে বের করে বিধায়ক ও তাঁর গাড়ির চালককে মারধর করা হয়। ঘটনায় গুরুতর আহত হন বিধায়ক। জানা গিয়েছে, বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ওই বিধায়ক। তাঁর অবস্থা অতি সঙ্কটজনক (Critical Condition)।
সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার রাজ্যের অশান্তি নিয়েই ইম্ফলে মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং(N Biren Si9ngh)-র সঙ্গে বৈঠকে সেরে বাড়ি ফিরছিলেন বিজেপি বিধায়ক ভুংজাগিন ভালতে (Vungzagin Valte)। রাজ্যের উত্তপ্ত পরিস্থিতি নিয়েই আলোচনায় বসেছিলেন তাঁরা। ক্ষিপ্ত জনতা তাঁর উপরে হামলা চালায়। গাড়ি থেকে বের করে বিধায়ক ও তাঁর গাড়ির চালককে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। ঘটনায় গুরুতর আহত হন বিধায়ক। পরে পুলিশ গিয়ে ঘটনাস্থল থেকে বিধায়ককে উদ্ধার করে এবং ইম্ফলের রিজিওনাল ইন্সটিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্সে ভর্তি করানো হয়।
জানা গিয়েছে, বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ওই বিধায়ক। তাঁর অবস্থা অতি সঙ্কটজনক (Critical Condition)। একজন সিনিয়র নিরাপত্তা আধিকারিক বলেন, ভালতে একটি গুরুতর অবস্থা এবং ইম্ফলের আঞ্চলিক ইনস্টিটিউট অফ মেডিকেল সায়েন্সে ভর্তি করা হয়েছে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, হামলায় গুরুত আহত হয়েছেন বিজেপি বিধায়ক। তাঁর অবস্থা সঙ্কটজনক। ইন্টেনসিভ কেয়ার ইউনিটে চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে রয়েছেন তিনি।
পাহাড়ের একজন নাগা বিধায়ক জানান, অশান্তির পরিস্থিতিতে উন্মত্ত জনতা ভালতেকে অভিযুক্ত করেছে এবং তার গাড়ি ভাঙচুর করেছে। তিনি বলেন, ভালতেকে চিকিৎসার জন্য এয়ারলিফট করে দিল্লিতে নিয়ে যাওয়া হতে পারে। বুধবার থেকে মণিপুরে অশান্তি ছড়িয়ে পড়েছে।মণিপুর প্রশাসন সূত্রে খবর, বুধবার রাতের দিকে নতুন করে উত্তেজনা ছড়ায় রাজধানী ইম্ফল, চূড়াচাঁদপুর এবং কাংপোকপিতে। এই বিক্ষোভের জেরে একাধিক বাড়িতে আগুনও ধরে যায়। বিষ্ণুপুর ও চুরাচন্দপুর জেলায় মোতায়েন থাকা ভারতীয় সেনা, আধা সেনার তরফে একটি বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ক্ষতিগ্রস্ত বাসিন্দাদের সরিয়ে আনার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। প্রায় ৪ হাজার গ্রামবাসীকে সেনার অস্থায়ী আশ্রয় শিবিরে জায়গা দেওয়া হয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করতে পাহাড়ের বিধায়কদের একটি বৈঠক ডেকেছিলেন। ভালতে হল ফেরজাওল জেলার কুকি আদিবাসী সম্প্রদায়ের একজন নেতা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতেই মণিপুরের রাজ্যপাল সমস্ত জেলাশাসক, সাব ডিভিশনাল ম্যাজিস্ট্রেটদের চূড়ান্ত পরিস্থিতিতে দেখামাত্র গুলি চালানোর সরকারি নির্দেশে দিয়েছেন। মণিপুর রাজ্যপালের তরফ থেকে যে নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে, জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, সাব-ডিভিশনাল অফিসার ও সমস্ত একজিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও স্পেশাল এগজিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটদের নির্দেশ বলা হয়েছে, চরম কোনও পরিস্থিতে, যখন বোঝানো, সতর্ক করা ও কম ফোর্সে ব্যবহার কাজে আসবে না, তখন ভারতীয় আইন সিআরপিসি, ১৯৭৩-এর আওতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ না করতে পারলে দেখা মাত্র গুলি করার নির্দেশ দেওয়া হল৷