ওয়েব ডেস্ক: শনিবার সংসদে বাজেট (Union Budget 2025) পেশ করলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন (Nirmala Sitharaman)। এই বাজেটে প্রতিবেশী দেশগুলির জন্য বরাদ্দকৃত অর্থ দেখে এটাই মনে করা হচ্ছে যে, এবার হয়তো ভারত-মলদ্বীপ সম্পর্কের বরফ গলতে শুরু করেছে। কারণ ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষের জন্য কেন্দ্রীয় বাজেটে মলদ্বীপের (Maldives) উন্নয়নে ভারতের সাহায্যের পরিমাণ ২৮ শতাংশ বৃদ্ধি করা হয়েছে। যেখানে ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে মলদ্বীপের জন্য বরাদ্দ ছিল ৪৭০ কোটি টাকা, যা এবার বেড়ে দাঁড়াচ্ছে ৬০০ কোটি টাকায়।
তবে মলদ্বীপের জন্য বরাদ্দ বৃদ্ধি করা হলেও বাংলাদেশের (Bangladesh) জন্য বরাদ্দ বৃদ্ধি করেনি মোদি সরকার। ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষের মতোই এবারও বাংলাদেশকে ১২০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। ২০২৪ সালের আগস্টে শেখ হাসিনার সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কে কিছুটা অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। তাই সম্পর্ক উন্নতির জন্য বাজেটে বরাদ্দ বাড়ানো হয়নি, আবার বরাদ্দ কমিয়েও দেওয়া হয়নি।
আরও পড়ুন: মোদি সরকারের বাজেটকে ‘গভীর ষড়যন্ত্র’ বলে কটাক্ষ অমিত মিত্রর
এই বাজেটে ভারতের সাহায্যপ্রাপ্ত দেশগুলির মধ্যে সবচেয়ে বেশি বরাদ্দ পেয়েছে ভুটান। ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষে তাদের জন্য ২,১৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে, যদিও গত অর্থবর্ষে এই পরিমাণ ছিল ২,৫৪৩.৪৮ কোটি টাকা। নেপালের জন্য বরাদ্দ অপরিবর্তিত থাকছে ৭০০ কোটি টাকা। শ্রীলঙ্কাকেও আগের মতোই ৩০০ কোটি টাকা দেওয়া হবে। মরিশাস পাচ্ছে ৫০০ কোটি টাকা, আফগানিস্তান ১০০ কোটি টাকা এবং আফ্রিকার দেশগুলি ২২৫ কোটি টাকা। এছাড়া, মায়ানমারের জন্য ৩৫০ কোটি টাকা এবং মঙ্গোলিয়ার জন্য ৫ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারতের বিদেশ নীতির মূল দৃষ্টিভঙ্গি প্রতিফলিত হয়েছে এই বাজেটে। যেখানে সম্পর্ক উন্নয়নের লক্ষ্যে মলদ্বীপের জন্য বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে, সেখানে বাংলাদেশের ক্ষেত্রে বরাদ্দ একই রাখা হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভারত পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করলেও বাংলাদেশে নতুন সরকারের সঙ্গে সুসম্পর্ক রক্ষা করাকেও গুরুত্ব দিচ্ছে।
দেখুন আরও খবর: