কলকাতা: ২৩ অগাস্ট, ২০২৩ ভারতের ইতিহাসে এক যুগান্তকারী দিন। বিজ্ঞানের সাধনায় অভাবনীয় সাফল্য পেয়েছে দেশের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো (ISRO)। বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে চাঁদের অজানা, অচেনা, বিপদসঙ্কুল দক্ষিণ মেরুতে পা দিয়েছে ভারত। তাছাড়াও আমেরিকা, চীন এবং রাশিয়ার পরে চতুর্থ দেশ হিসেবে ‘সফট ল্যান্ডিং’ প্রযুক্তির সাহায্যে চন্দ্রপৃষ্ঠে অবতরণ করেছে। এই সাফল্যে সাধুবাদ জানাচ্ছে গোটা বিশ্ব। ইসরোকে অভিনন্দন জানিয়েছেন নাসার (NASA) প্রধান বিল নেলসন (Bill Nelson)। আজ সকাল থেকে গুগলের (Google) ডুডলেও (Doodle) চন্দ্রযান ৩-এর (Chandrayaan 3) সাফল্যের কাহিনি।
বুধবার বিক্রম ল্যান্ডার (Vikram Lander) সফলভাবে অবতরণ করার পরপরই নাসা প্রধান টুইট করে বলেন, “চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে চন্দ্রযান ৩ সফল অবতরণ করানোর জন্য ইসরোকে অভিনন্দন। চতুর্থ দেশ হিসেবে চাঁদের মাটিতে কোনও মহাকাশযান সফট ল্যান্ডিং করানোর জন্য ভারতকে অভিনন্দন। এই মিশনে আপনাদের সহযোগী হতে পেরে আমরা খুশি।”
আরও পড়ুন: খোয়া ক্ষীর দিয়ে ‘চন্দ্রযান ৩’ তৈরি করলেন দুর্গাপুরের মিষ্টি বিক্রেতা
Congratulations @isro on your successful Chandrayaan-3 lunar South Pole landing! And congratulations to #India on being the 4th country to successfully soft-land a spacecraft on the Moon. We’re glad to be your partner on this mission! https://t.co/UJArS7gsTv
— Bill Nelson (@SenBillNelson) August 23, 2023
এদিকে বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই গুগলের হোমপেজ চন্দ্রযানময়। সার্চবারের ঠিক উপরটাতেই গাঢ় নীল রঙের মহাকাশ। তার উপর ইংরেজিতে গুগল লেখা। গুগল বানানে দ্বিতীয় অক্ষরটির জায়গায় চাঁদের মুখ এবং তার গায়ে ছোট করে বিক্রম ল্যান্ডার এবং রোভার প্রজ্ঞান (Rover Pragyan)। চাঁদটির মুখে হাসি। তার ঠিক উপরেই রয়েছে ভালোবাসার চিহ্ন।
প্রসঙ্গত, বিক্রম এক জায়গায় থাকলেও চলেফিরে বেড়াবে প্রজ্ঞান। জলীয় বরফের (Water Ice) সন্ধান করবে সে। চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে জলীয় বরফের উপস্থিতি আগেই টের পেয়েছিলেন বিজ্ঞানীরা। এবার সরজমিনে তদন্ত করবে ইসরোর রোভার। চাঁদে জল বা জলীয় বরফ খুঁজে পাওয়া গেলে তা হবে মানব সভ্যতার ইতিহাসে এক যুগান্তকারী ঘটনা। জলীয় বরফ যদি পর্যাপ্ত পরিমাণে থাকে তা চন্দ্রাভিযানে যাওয়া মহাকাশচারীদের পানীয় জলের উৎস হতে পারবে। যন্ত্রপাতি ঠান্ডা করতেও কাজে লাগবে এই জলীয় বরফ। তাছাড়া, জলের অণু ভেঙে হাইড্রোজেন দিয়ে জ্বালানি উৎপাদন করা যাবে এবং পড়ে থাকা অক্সিজেন মহাকাশচারীদের কাজে লাগবে। এই সমস্ত ব্যবস্থা যথাযথ হলে, মঙ্গল গ্রহে অভিযানের জন্য বেস ক্যাম্প হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে চাঁদকে। প্রজ্ঞান যা যা তথ্য আবিষ্কার করবে তার সমস্ত রেকর্ড পাঠিয়ে দেবে বিক্রমের কাছে। বিক্রম সেসব পাঠাবে ইসরোকে।