skip to content
Thursday, July 4, 2024

skip to content
Homeদেশখোলা নর্দমা পরিষ্কার করতে গিয়ে মৃত্যু তিন শ্রমিকের, মানবাধিকার কমিশনে দায়ের অভিযোগ

খোলা নর্দমা পরিষ্কার করতে গিয়ে মৃত্যু তিন শ্রমিকের, মানবাধিকার কমিশনে দায়ের অভিযোগ

Follow Us :

গান্ধীনগর: নিকাশি নালা থেকে উদ্ধার হল দুই সাফাই কর্মীর মৃতদেহ৷ মৃত্যু হয়েছে আরও একজনের৷ তবে ওই সাফাই কর্মীর দেহ মেলেনি৷ বুধবার নিকাশি নালা পরিষ্কারে নেমেছিলেন এক শ্রমিক৷ তাঁকে খুঁজতে গিয়ে ভেতরে আটকে পড়েন আরও দু’জন৷ বৃহস্পতিবার রাত অবধি দু’জনের মৃতদেহ উদ্ধার হলেও তৃতীয় জনকে খুঁজে পাওয়া যায়নি৷ উদ্ধারকারীরা জানিয়েছেন, নিখোঁজ ব্যক্তির মোবাইল ফোন পাওয়া গিয়েছে৷ কিন্তু  মৃতদেহ মেলেনি৷ পুলিশের অনুমান, নালার ভেতরে থাকা বিষাক্ত গ্যাস শরীরে ঢুকে মৃত্যু হয়েছে তিন শ্রমিকের৷

মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে আমেদাবাদের বোপালে৷ ওই ঘটনার পরই নির্মাণ সংস্থা যোগী কনস্ট্রাকশনের মালিক সাকেত দীপক পটেল, সুপারভাইজর হিম্মত বালু পটেল-সহ তিনজনের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৪ ধারায় অভিযোগ দায়ের করেছে আমেদাবাদ পুলিশ৷ হিম্মত বালু পটেল ধরা পড়লেও বাকিরা পলাতক৷ আমেদাবাদ আরবান ডেভেলপমেন্ট অথরিটি জানিয়েছে, তিন বছর আগে বোপাল-ঘুমা অংশে নিকাশি নালার পাইপ লাইন বসানোর বরাত পেয়েছিল যোগী কনস্ট্রাকশন৷ তারা আরেকটি সংস্থাটি দিয়ে কাজটি করায়৷ কয়েক মাস আগে পাইপ লাইন বসানোর কাজ সম্পূর্ণ হলেও ১০ দিন আগে নিকাশি নালা চালু হয়৷ তার পরেও লাইনে কিছু মেরামতির কাজ বাকি ছিল৷ সাফাই কর্মীরা সেটা দেখতে ম্যানহোলে ঢুকেছিল৷ হয়তো তার পর কোনও কারণে জ্ঞান হারায়৷ এইউডিএ-র তরফে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে৷

আরও পড়ুন: কত জন ভারতীয় এখনও আটকে আফগানিস্তানে জানে না কেন্দ্র

ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশও৷ জানতে পেরেছে, প্রথমে ম্যানহোলের ভেতর একজন শ্রমিক নেমেছিলেন৷ সে আসছিল না দেখে বাকি দু’জন পাইপের ভেতর প্রবেশ করে৷ প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশের অনুমান, বিষাক্ত গ্যাস শরীরে প্রবেশ করে তাঁদের৷ সেখান থেকে মৃত্যু হয় তিন জনের৷ তিনজনকে উদ্ধারে নামে দমকল৷ পাইপ লাইনের ২৫ ফুটের ভেতর থেকে দুটি দেহ উদ্ধার হয়৷ কিন্তু তৃতীয়জনের কোনও হদিশ মেলেনি৷ যে দু’জনের দেহ উদ্ধার হয়েছে তাঁরা হলেন রাজেশ কানু মেদা এবং ভরত মানু মেদা৷ সন্দীপ কানু মেদা নামে তৃতীয় শ্রমিকের মৃতদেহ খুঁজে পাওয়া যায়নি৷

আরও পড়ুন: সুরা প্রেমীদের জন্য সুখবর! সেপ্টেম্বরেই কমছে বিদেশি মদের দাম

এই ঘটনায় জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন দলিত সমাজকর্মী কান্তিলাল পারমার৷ তাঁর দাবি, খোলা নর্দমা পরিষ্কারের কাজ আইন বিরুদ্ধ৷ সুপ্রিম কোর্ট এবং গুজরাত হাইকোর্টেরও রায় রয়েছে৷ গুজরাত ম্যানহোল কামদার ইউনিয়নের সভাপতি শিবকুমার জানিয়েছেন, ১৯৯৩ সাল থেকে এএমসি এলাকায় খোলা নর্দমা পরিষ্কার করতে গিয়ে ৭৫ জন শ্রমিক প্রাণ হারিয়েছেন৷ কিন্তু কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রামদাস আঠাওয়ালে রাজ্যসভায় এক প্রশ্নের জবাবে বলেছিলেন, খোলা নর্দমা পরিষ্কারে নেমে গত পাঁচ বছরে কোনও শ্রমিকের মৃত্যু হয়নি৷

RELATED ARTICLES

Most Popular