ব্যারাকপুর: দুষ্কৃতীর গুলিতে মৃত্যু পানিহাটি পুরসভার এক তৃণমূল কাউন্সিলরের৷ বাইকে চেপে চার দুষ্কতী তাঁকে গুলি করে পালায় বলে অভিযোগ৷ দুষ্কৃতীর গুলিকে ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অনুপম দত্ত মাথায় ও কাঁধে গুরুতর চোট পান৷ তাঁকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে সাগর দত্ত মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়৷ সেখান থেকে বেলঘড়িয়ার এক বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়৷ সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে খবর৷
জনপ্রিয় তৃণমূল নেতারপ অনুগামীরা জানান, হরিসভায় মিটিং ছিল৷ তারপর বাড়ি ফিরে রোজকার মতো সন্ধেয় বাড়ি থেকে বের হন৷ তারপর আগরপাড়া রেল স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় তাঁকে গুলি করা হয়৷
তৃণমূল নেতা পার্থ ভৌমিক জানান, একশো শতাংশ পরিকল্পিত খুন৷ বাইকে চেপে তিন দুষ্কৃতী তাঁকে গুলি করে বলে জানতে পেরেছি৷ কিন্তু কী কারণে, কে বা কারা গুলি চালিয়েছে সে বিষয়ে জানি না৷ কী বলব বুঝে উঠতে পারছি না৷ পুলিস গোটা ঘটনার তদন্ত করে দেখছে৷ পুলিসকে জানিয়েছি৷ প্রশাসনের উপর বিশ্বাস-ভরসা আছে৷ কে বা কারা ঘটিয়েছে তা বলা সম্ভব নয়৷ তবে, অনুপম এলাকার বিজেপির বড় মাথাকে হারিয়ে ছিলেন৷
প্রায় একই রকমভাবে মৃত্যু হল ঝালদা পুরসভার কংগ্রেস কাউন্সিলের মৃত্যু হয়েছে৷ দুষ্কৃতীদের গুলিতে মৃত্যু হয়েছে ঝালদা পুরসভার ২ নম্বর কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দুর। আজ বিকেলে হাঁটার সময় ঝালদা-বাগমুন্ডি রোডের উপরে গুলিবিদ্ধ হন তিনি। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে গোকুলনগর গ্রামের বাসিন্দার উদ্ধার করে ঝালদা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যান। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় সেখান থেকে তাঁকে ঝাড়খণ্ডের একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়। সেখানেই তপনবাবুর মৃত্যু হয়।
২০১৫ সালের পুরভোটে ফরওয়ার্ড ব্লকের হয়ে জিতেছিলেন তপন কান্দু। লোকসভা নির্বাচনের আগে বিজেপিতে যোগ দিলেও পরে কংগ্রেসের পতাকা হাতে তুলে নেন। এবারের পুরসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের টিকিটেই ভোটে লড়েন। তপনের বিরুদ্ধে তৃণমূলের টিকিটে দাঁড়ান তাঁরই ভাইপো। তাঁকে হারিয়ে জেতেন তপন। তাঁর স্ত্রী ঝালদা পুরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ড থেকে কংগ্রেসের টিকিটে ভোটে লড়াই করে জয়ী হন।
ঝালদা পুরসভার ১২টি আসনের মধ্যে তৃণমূল কংগ্রেসের ঝুলিতে এসেছে ৫টি আসন। কংগ্রেস জিতেছে ৫টি আসন। আর বাকি ২টি আসনে জয়ী হয়েছে নির্দল। ফলে ঝালদা পুরসভায় ‘ত্রিশঙ্কু’ পরিস্থিতির তৈরি হয়েছে। ভোটের ফলপ্রকাশের পরই ১ জন নির্দল প্রার্থী তৃণমূলে যোগ দেন। ফলে তৃণমূলের আসন সংখ্যা বেড়ে হয় ৬। কিন্তু নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠ না হওয়ার ফলে তৃণমূলের পক্ষে এখনও বোর্ড গঠন করা সম্ভব হয়নি।