কলকাতা: বিরাটিতে (Birati) নির্মীয়মাণ বাড়ির অংশ মাথায় পড়ে মৃত্যু হয় এক মহিলার। সেই ঘটনায় ওই বিল্ডিংয়ের প্রোমোটার সহ ছয় জনকে গ্রেফতার (Arrest) করল পুলিশ (Police)। এয়ারপোর্ট থানার পুলিশ রবিবার সকালে ওই নির্মীয়মাণ বাড়ির তিন প্রোমোটার, লেবার ইনচার্জ সহ মোট ছয় জনকে গ্রেফতার করেছে। মৃতার স্বামী সুদীপ শর্মা চৌধুরী এয়ারপোর্ট থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। মৃতার স্বামী জানিয়েছেন, পুরসভার অনুমোদন ছাড়াই পাঁচ তলা বহুতলটি তৈরি হচ্ছিল। তার সামনে মাত্র আট ফুটের রাস্তা। গত রাতে নির্মীয়মাণ বাড়ির অংশ সরাসরি মহিলার মাথার উপরে পড়ে। ওই মহিলা বাড়ির নিজের অংশে দাঁড়িয়েই ফোনে কথা বলছিলেন।
একটি নির্মীয়মাণ বিল্ডিং এর দেওয়াল চাপা পড়ে মৃত্যু হয় কেয়া শর্মা চৌধুরীর (৫০)। তাঁর বাড়ি এয়ারপোর্ট থানার শরৎ কলোনিতে। শনিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে শরৎ বসু রোডে। পুলিশ সূত্রে খবর, বেশ কিছুদিন ধরেই শরৎ কলোনিতে একটি বহুতল নির্মাণের কাজ চলছিল। এদিন সকাল থেকেই পাঁচতলার উপরে দেওয়াল গাথার কাজ চলে। অভিযোগ, রাত সাড়ে আটটা নাগাদ হঠাৎই সেই দেওয়াল ভেঙে নিচে পড়ে। সে সময় ওই বিল্ডিং এর গলি দিয়েই হেঁটে যাচ্ছিলেন কেয়া শর্মা চৌধুরী। তার মাথার ওপর ইট খসে পড়ে। মাথা ঘাড় সহ একাধিক জায়গায় আঘাত হয়। স্থানীয়রা জখম অবস্থায় তাকে নিয়ে যায় একটি বেসরকারি হাসপাতালে। পরে তিনি মারা যান। ঘটনার পরই ক্ষোভে ফেটে পড়েন এলাকার মানুষ। তাঁরা বিল্ডিংয়ের নিচে জড়ো হয়ে প্রোমোটারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখান। অনেকেই গার্ডেনরিচ কান্ডের কথা বলেন। এয়ারপোর্ট থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বিক্ষুব্ধদের সঙ্গে কথা বলেন এবং সঠিক তদন্তের আশ্বাস দেন।
আরও পড়ুন: আগামী সপ্তাহে রাজ্যে সভা প্রধানমন্ত্রীর
আরও খবর দেখুন