আমার এক বন্ধু করোনাকালে ওয়ার্ক ফ্রম হোম করছিল, এক বড় মাপের কাগজের কলমচি। প্রথমে এল একটা নোটিশ, বলা হল ২০% মাইনে ছাঁটাই হবে। হলও। কেউ কিচ্ছু বললো না। বলে লাভ নেই। চলছিল। এরমধ্যে সেই বন্ধুর বউ এর জন্মদিন, এই করোনাবেলাতেও বাড়িতে তৈরি হয়েছে একটা কেক, আর পোলাও মাংস। বিকেলে ওই কেক কাটার আগেই অফিস থেকে ফোন এলো, আসতে হবে, অফিসে ভিডিও কনফারেন্স এ কথা বলবেন মুম্বাই এর বড়কর্তারা, আপনি বাঁচলে বউ এর জন্মদিন। তিনি চলে গেলেন। ভিডিও কনফারেন্স এ বড়কর্তা এসে জানালেন, চাকরি নেই, কমপিউটার ইত্যাদি বুঝিয়ে দিয়ে বাড়ি চলে যেতে। এসবের সঙ্গে বেশ বড় মাপের বেসরকারি কর্মচারিদের অনেকেই নিজেকে বেশ মেলাতে পারবেন। কাজেই চাকরির অনিশ্চয়তা যেখানে এতটাই নড়বড়ে সেখানে চাকরির মায়া থাকলে জো হুজুর বলে মুখ বুঁজে নির্দেশ পালন করাটাই রীতি। অন্যদিকে সরকারি চাকরি, খেতে হলে চার্জশিট দিতে হবে, শুনানি হবে, চাকরি গেলেও তিনি আদালতের দরজায় কড়া নাড়তে পারেন। বহু আমলা আইপিএস, আইএএস দের দেখা যায়, সাহসিকতার সঙ্গে কাজ করছেন, করোনা লকডাউনের সময়ে গুজরাটে এক মহিলা পুলিশ কন্সস্টেবলকে দেখেছিলাম যিনি মন্ত্রীপুত্রকে লকডাউনের মধ্যে বেরিয়েছেন বলে মন্ত্রীর হুমকি অগ্রাহ্য করেও অ্যারেস্ট করছেন। হয়, কারণ তিনি জানেন, জানতেন যে সংবিধান তাকে কিছু অধিকার দিয়েছে, যার জন্য তিনি লড়ে যেতে পারেন। কিন্তু চাকরি চলে যাওয়াটা যদি কর্তার ইচ্ছায় কর্ম হয়, তাহলে জো হুজুর হয়েই থাকতে হয়। আমাদের দেশে রাষ্ট্রপতি থেকে কনিষ্ঠতম সরকারি কর্মচারির চাকরি কেড়ে নিতে হলে কিছু নিয়ম মেনে করতে হয়, সুপ্রিম কোর্টের বিচারকদের ইমপিচ করতে হয়, সদনের তিন চতুর্থাংশ গরিষ্ঠ মতামত নিয়ে রাষ্ট্রপতির আপসারণ করা যায়, প্রধানমন্ত্রী থেকে গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের কাজের সময় সীমা আছে। কিন্তু বেচারা রাজ্যপালের নিয়োগ ও কেন্দ্র সরকারের ইচ্ছেতে, চাকরি চলে যাওয়াটাও ঐ একই ভাবে। কোনও প্রশ্ন নয়, টেলিফোন গ্যালো, বোরিয়া বিস্তরা বাঁধো, চলত মুসাফির লে গয়া রে হামে পিঁজড়েবালী মুনিয়া………বেরিয়ে পড়তে হবে। কোথা থেকে? বিশাল প্রাসাদোপম বিলাশবহুল বাসস্থান ছেড়ে, খিদমত খাটার জনা ১০০ নোকর চাকর ছেড়ে, গাড়ি, প্লেন ট্রেন কাগজে ছবি, বিভিন্ন রকমের ভাতা, মাইনে ছেড়ে অজানা পথে। চুপচাপ চলে গেলে আবার হয়তো জুটতে পারে, গাঁইগুঁই করলে সেটার চান্স আর নেই। অতএব রাজ্যপাল মানে এক লুক্রেটিভ জব, বিরাট পার্কস, সন্মানের পদ, আরামের জীবন কিন্তু চুড়ান্ত অনিশ্চয়তা, প্রভুর নির্দেশ পালন না করতে পারলে বিস্তরা গোল। কারা হন এই রাজ্যপাল? বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অ্যাকটিভ পলিটিক্স জীবনের শেষপ্রান্তে দাঁড়িয়ে থাকা মানুষজন, আর কোথাও কিচ্ছু জুটবে না, কেন্দ্রের মন্ত্রিত্ব আর জুটবে না, রাজ্য রাজনীতিতে আর কিছু হবার নেই বা রাজ্যরাজনীতির খেলায় সুবিধে হচ্ছে না, কিন্তু তাকে চুপ করাতে হবে, দে রাজ্যপাল করে। বিভিন্ন রাজ্যে বেমক্কা যা খুশি বলতে থাকা নেতাদের পাঠিয়ে দেওয়া হয়, পাঠানো হয়েছে রাজ্যপাল করে। মজায় থাকুন, টুইট করুন, বিস্কুট খাও পাটায়া যাও।
সেই রাজ্যপালদের সিদ্ধান্ত নিয়ে অনেক বিতর্কের শেষে একটা জিনিস খুব পরিস্কার যে এসব সিদ্ধান্ত তাঁদের নয়, তাঁদের নিয়োগকর্তাদের। অর্থাৎ যাঁরা আছেন কেন্দ্রীয় শাসন ক্ষমতায়, তাঁদের অঙ্গুলিহেলনে যা যা করার তাই করে থাকেন রাজ্যপালেরা। এর সঙ্গে পবিত্র সংবিধান, সংবিধানের মর্যাদা, সাংবিধানিক পরম্পরা ধরে রাখা ইত্যাদির কোনও সম্পর্ক নেই থাকার কথাও নয়, কারণ ওনারা কেন্দ্র সরকারের এজেন্ট, তাঁদের কাছে আনুগত্য ছাড়া একদিনও পদে বসে থাকার ক্ষমতা নেই।
আরও পড়ুন: Fourth Pillar| মোদিজী এখন প্যাঁচে পড়েছেন, বেরোনোর রাস্তা নেই
সংবিধান যখন তৈরি হচ্ছিল, তখন এই রাজ্যপাল পদ নিয়ে প্রচুর আলোচনা হয়, বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, এই পদের নিয়োগ ইত্যাদি নিয়ে। প্রথমে ঠিক হয় রাজ্যের মানুষ রাজ্যপালকেও নির্বাচিত করবেন। তারপরে বলা হয় রাজ্যের বিধায়করা করবেন, তারপর রাজ্যের বিধায়ক এবং রাজ্য থেকে নির্বাচিত সাংসদ রা রাজ্যপাল নির্বাচিত করবেন এমনটাও ঠিক হয়। কিন্তু শেষমেষ রাজ্যে দুজন নির্বাচিত প্রধান থাকলে অনিবার্য সংঘাত তৈরি হবে এই কথা ভেবে রাজ্যপালের নিয়োগ রাষ্ট্রপতি করবে, এটাই স্থির করা হয়। এবং প্রায় শুরু থেকেই রাজ্যপাল পদ নিয়ে মনকষাকষি শুরু হয়ে যায়। মনে রাখতে হবে ১৯৩৭ এ দেশের ৭ টা বড় রাজ্যতে কংগ্রেস সংখ্যা গরিষ্ঠতা পায়, কিন্তু তারা সরকার তৈরি করতে অস্বীকার করে, তাদের দাবী ছিল ১৯৩৫ এর জনপ্রতিনিধিত্ব আইন অনুযায়ী রাজ্যপালের যে বিশেষ অধিকার তা যতদিন থাকবে, কংগ্রেস সরকার তৈরি করবে না। আলাপ আলোচনার পরে ঐ বিশেষ অধিকার বাতিল করা হয়, কংগ্রেস সরকার তৈরি করে। রাজ্যপাল নিয়োগের ব্যাপারে অন্তত একটা পরম্পরা তৈরি হয়েছিল যে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর অমতে কাউকে রাজ্যপাল করা হতো না। জহরলাল নেহেরুর সময়ে এ কাজ একবারের জন্য হয় নি। ইন্দিরা গান্ধী এসে এই পরম্পরা ভেঙে ছিলেন। বেশ কিছু ক্ষেত্রে তিনি রাজ্যপালের নিয়োগ মুখ্যমন্ত্রীকে না জানিয়েই করেছিলেন। কিন্তু মোদী জামানায় এটাই পরম্পরা, একবারের জন্যও মুখ্যমন্ত্রীকে জানানোও হয় না, কাকে রাজ্যপাল করে রাজভবনে পাঠানো হচ্ছে। এবং তাই রাজ্যপাল মুখ্যমন্ত্রী বিরোধ এক স্বাভাবিক ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। যে দল যখন ক্ষমতায় থেকেছে, সেই দল তখনই রাজ্যপাল কে দিয়ে সংবিধানের গুষ্টির ষষ্ঠিপূজো করে ছেড়েছে।
তিন ধরনের কাজ রাজ্যপালকে দিয়ে করানো হয়েছে। প্রথমটা হলো ৩৬৫ ধারা ব্যবহার করে নির্বাচিত রাজ্য সরকার কে ফেলে দেওয়া। আইনশৃঙ্খলার অবনতি ইত্যাদি বলে এই কাজ করা হয়েছে অনেকবার। দ্বিতীয় কাজ হলো সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে সামান্যতম সুযোগ থাকলে তাকে কেন্দ্রে শাসক দলের জন্য কাজে লাগানো, তৃতীয় টা হল, কেন্দ্রে শাসক দলের বিরোধী দলের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কারণে অকারণে সংঘাত তৈরি করা, বিবৃতি দেওয়া, ঘটনাস্থালে চলে যাওয়া, মোদ্দা কথা হল সরকার কে ক্রামাগত বিব্রত করতে থাকা। এগুলো আজ থেকে নয়, শুরু থেকে চলে আসছে।
এসব নিয়ে প্রচুর মামলা হয়েছে, রাজ্যপালের অধিকার, ৩৬৫ ধারা লাগু করা এমন কি রাজ্যপাল পদের ঔচিত্য বা নিয়োগ ইত্যাদি নিয়েও বিতর্ক কম হয় নি। একটা গোটা কমিশনের সিংহভাগ জুড়ে এই রাজ্যপালের নিয়োগ ৩৬৫ ধারা ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সেই সারকারিয়া কমিশনে দেশের খ্যাতনামা রাজনীতিবিদ রা গেছেন, তাদের বক্তব্য রেখেছেন। সব দলের সব মতের রাজনৈতিক নেতা রাজ্যপাল পদের অপব্যবহার নিয়ে সরব হয়েছেন, আজকের প্রধানমন্ত্রী যখন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন তখন তীব্র ভাষায় নিন্দা করেছেন এই অপব্যবহার কে, রাজ্যপালের নিয়োগ নিয়ে কত কথা বলেছেন, লোকায়ুক্ত বিল ফেরত দেওয়া নিয়ে সেই সময়ের রাজ্যপাল কমলা বেনিওয়াল এবং মুখ্যমন্ত্রীর তিক্ততার কথা সবাই জানে।
সেই তিক্ততা চলতে থাকে, কমলা বেনিওয়াল মাঝে মধ্যেই কাগজে বয়ান দিতে থাকেন। এরই মধ্যে নরেন্দ্র মোদী ২৬ মে ২০১৪ দেশের প্রধানমন্ত্রী হন। দু মাস সময় লেগেছিল, ৭ আগস্ট ২০১৪ তে কমলা বেনিওয়াল খুইয়েছিলেন তাঁর রাজ্যপালের পদ, তারও একমাস আগেই তাঁকে গুজরাট থেকে পাঠানো হয়েছিল মিজোরামে। ৬ জুলাই মিজোরামে গেলেন, ৬ আগস্ট বিস্তারা গোল। ঐ যে বললাম রাজ্যপাল মানে কেন্দ্র সরকারের এজেন্ট, কেন্দ্র সরকার না চাইলে এক মুহুর্তও পদে থাকা যাবে না।
দেশের প্রথম সংখ্যাগরিষ্ঠ সরকার ফেলে দেওয়া হয়েছিল কিন্তু নেহেরুর আমলেই। আজকে যাদের হাত ধরে সিপিএম সিপিয়াই নির্বাচনের ময়দানে। সেই কংগ্রেস সরকারই ৩১ এ জুলাই ১৯৫৯ এ সংখ্যাগরিষ্ঠ ই এম এস নাম্বুদ্রিপাদ সরকার ভেঙে দিয়েছিল। সেই অর্থে প্রথম অপব্যবহার। এরপর বহুবার। ১৯৬৮। ১৯৭০ বাংলার যুক্তফ্রন্ট সরকার ভাঙা হয়েছে। ১৯৭৭ এ জনতা সরকার আসার পরে বিহার উড়িষ্যা, মধ্যপ্রদে্শ, উত্তরপ্রদেশ, পাঞ্জাব, হরিয়ানা, রাজস্থান ২৯ আর ৩০ এপ্রিল এই দুদিনে এতগুলো সরকার ভেঙে দেওয়া হয়, সবকটাতেই রাজ্য সরকারের সংখ্যা গরিষ্ঠতা ছিল। এরপর ১৯৮০ তে কংগ্রেস ফিরে আসে ইন্দিরা গান্ধী আবার প্রধান মন্ত্রী, ৬ থেকে ৯ জুনের মধ্যে রাজস্থান, উত্তরপ্রদেশ, পাঞ্জাব, উড়িষ্যা, গুজরাট, বিহার, তামিলনাড়ু, মধ্যপ্রদেশের সরকার ভাঙা হয়। এটা ছিল বদলা। এরপর বাবরি মসজিদ ভাঙার ঘটনা, ৬ ডিসেম্বার ১৯৯২। ভাঙা হল উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থান, কধ্যপ্রদেশ, হিমাচল প্রদেশের বিজেপি সরকার। এসবই হয়েছে রাজ্যপালের সুপারিশ এ। মানে রাজ্যপাল কে কেন্দ্র সরকার নির্দেশ দিয়েছে, রাজ্যপাল তা পালন করেছে। একটা ক্ষেত্রেও রাজ্যপাল বিরোধিতা করেছে, এমন ঘটনা ঘটেনি।
অর্থাৎ কর্তার ইচ্ছায় কর্ম হয়েছে। রাজ্যপাল পদ টা আছেই এই কাজ করার জন্য। যদি রাজ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠ সরকার থাকে, তাহলে তাকে ব্যতিব্যস্ত করতে থাকো, বিবৃতি দাও, মুখ্যমন্ত্রী অন্যান্য মন্ত্রীদের কাজ নিয়ে বিরুপ মন্তব্য করো, প্রেস কে ডাকো। মানে ২৪ ইন্টু সেভেন নির্বাচিত সরকার কে বিব্রত করতে থাকো। উদাহরণ কেরালা, পশ্চিমবঙ্গ। আর যদি সরকারে ফাটল ধরানো যায়, সেরকম সম্ভাবনা থাকে তাহলে রাজভবনই হোক সেই ষড়যন্ত্রের মূল কেন্দ্র। রাজ্যে রাজ্যে এই ঘটনা ঘটেই চলেছে। আসলে সংবিধানের এক বিরাট কৃষ্ণগহ্বর হলো এই রাজ্যপাল পদ শুরু থেকেই এই পদকে ব্যবহার করা হয়েছে, অপব্যবহার করা হয়েছে। মন্দিরের সামনে রাখা ঘন্টার মত একটা পদ, যে আসে সেই বাজিয়ে যায়।
সাংবিধানিক মর্যাদা দেখার জন্য রক্ষা করার জন্য রাজ্যপাল পদের সৃষ্টি, সেই কথা মাথায় রেখেই সারকারিয়া কমিশনে দুটো বিষয়ের ওপর জোর দেওয়া হয়েছিল, এক, রাজ্যপাল দলীয় কর্মী বা নেতা নন সমাজের বিশিষ্ট মানুষজনের মধ্য থেকে নিয়োগ করা হোক। দুই, নিয়োগের আগে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করা হোক। নরেন্দ্র মোদী দেশের হাল ধরার পর থেকে এক আধ জন বাদ দিলে প্রত্যেক রাজ্যের রাজ্যপাল বিজেপির সক্রীয় নেতা মন্ত্রী এবং তাঁদের নিয়োগের আগে সংশ্লিষ্ট রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে কথা বলার রীতি রেওয়াজ কে তিনি তুলোর মত উড়িয়ে দিয়েছেন। এমনিতে ওনার সিদ্ধান্তের কথা ওনার দলের লোকজনই জানতে পারে না তো বিরোধী দলের মুখ্যমন্ত্রীকে জানিয়ে রাজ্যপাল নিয়োগ করবেন, এ তো দুরাশা।
বাকি রইলো আমাদের, চোখে কালো চশমা, গরমেও স্যুট পরা আনন্দ বোস, তিনি হঠাৎ নারী নির্যাতন নিয়ে সরব হয়েছেন, বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছেন এরকম একটা জঘন্য নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে মানুষের গণতান্ত্রিক প্রতিবাদের ওপর পুলিশি দমন পীড়ন চলবে না। এসব কথা বলার সময়ে ওনার মাথাতেও নেই বা উনি ভেবেছেন বাংলার মানুষ ভুলে গেছে যে ওনার বিরুদ্ধেই দু দুটো নারী নির্যাতনের অভিযোগ আছে। আমরা, বাঙালিরা চোরের মুখ থেকে ধর্মের উপদেশ শুনতে অভ্যস্থ নই। বরং একটা উপদেশ আছে, পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক ইতিহাস টা পড়ে নিন, না হলে শেষে আফশোস করতে হবে, অ্যডভাইস টা আরও স্পেসিফিক করে দিই মাননীয় আনন্দ সাহেব, আপনি বরং রাজ্যপাল ধর্মবীর এর সময় টা পড়ে নিন, রাজ্যের এমন কোনও রাস্তা ছিলনা যেখানে ওনার কুশপুতুল জ্বালানো হয় নি, সেই জামানাতেও রাজভবন ছেড়ে এক ইঞ্চি নড়তে পারেন নি তিনি, এবং চলে যাবার সময় ছিলেন এক্কেবারে নিঃসঙ্গ।