কলকাতা: ভয়ঙ্কর রূপ নিয়ে স্থলভাগের দিকে এগিয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় দানা (Cyclone Dana)। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার সকালের মধ্যে ঘূর্ণিঝড়ের ল্যান্ডফল করবে ওড়িশার ভিতরকণিকা এবং ধামারার কাছাকাছি জায়গায়। এর প্রভাব পড়ে বাংলার উপকূলবর্তী এলাকায়। মাঠে নেমেছে বিপর্যয় মোবাকিলা দল। বুধবার সকাল থেকেই আকাশের মুখ কালো। কলকাতায় তো ঝেপে বৃষ্টিও হয়ে গিয়েছে। কোনও ঝুঁকি নিতে চাইছেন না রেলের কর্তারাও। ২৪ অক্টোবর বৃহস্পতিবার রাত ৮টা থেকে শিয়ালদহ থেকে চলবে না কোনও ট্রেন (Local Train Cancelled)। কোনও শাখা থেকেই কোনও লোকাল ট্রেন চলাবে না রেল। পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র জানান, বৃহস্পতিবার রাত ৮টা থেকে শুক্রবার সকাল ১০টা পর্যন্ত এই নির্দেশিকা কার্যকর থাকবে। হাসনাবাদ, নামখানা স্টেশন থেকেও শিয়ালদহের উদ্দেশে কোনও ট্রেন রওনা দেবে না।
স্থলভাগের মাটি ছুঁয়ে তাণ্ডব চালাবে দানা। দুর্যোগে যাত্রীদের সুরক্ষার কথা ভেবে ইতিমধ্যে দুরপাল্লার একাধিক ট্রেন বাতিল করেছে রেল। এবার লোকাল ট্রেনও বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। রেলের তরফে জানানো হয়েছে, বৃহস্পতিবার রাত ৮টা থেকে শিয়ালদহ ডিভিশনে কোনও লোকাল ট্রেন ছাড়বে না। ২৫ তারিখ সকাল দশটা পর্যন্ত ট্রেন বন্ধ থাকবে। রেলের তরফে জানানো হয়েছে, ঝড়ের দাপট চলাকালীন ট্র্যাকে যাতে কোনও ট্রেন না থাকে। সাধারণ মানুষের সুরক্ষাই আমাদের প্রধান লক্ষ্য।
বৃহস্পতিবার রাত ৮টার পর থেকে দক্ষিণ শাখা থেকে কোনও ট্রেন ছাড়বে না। শুক্রবার সকাল ১০টা পর্যন্ত ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকবে। দক্ষিণ শাখার স্টেশনগুলি থেকে শিয়ালদহের উদ্দেশে শেষ ট্রেন ছাড়বে রাত ৭টায়। বৃহস্পতিবার রাত ৮টা থেকে শুক্রবার সকাল ১০টা পর্যন্ত শিয়ালদহ ও বারাসত থেকে হাসনাবাদ শাখাতেও ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকবে। ১৬০টি লোকাল ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। পূর্ব রেল জানিয়েছে, ২৩ অক্টোবর, বুধবার বাতিল করা হয়েছে কামাখ্যা-বেঙ্গালুরু এক্সপ্রেস, ডিব্রুগড়-কন্যাকুমারী এক্সপ্রেস, কন্যাকুমারী-ডিব্রুগড় এক্সপ্রেস, বেঙ্গালুরু-গুয়াহাটি এক্সপ্রেস, শিয়ালদহ-পুরী দুরন্ত এক্সপ্রেস, শিলচর-সেকেন্দরাবাদ সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস।
অন্য খবর দেখুন