নিউ জিল্যান্ড ১৬৩-৪ (২০ ওভারে)
নামিবিয়া ১১১-৭ (২০ ওভারে)
টি টোয়েন্টি বিশ্ব কাপের সেমিফাইনালের দিকে আরও এক পা এগিয়ে গেল নিউ জিল্যান্ড। শুক্রবার শারজা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে তারা সহজেই ৫২ রানে হারিয়ে দিল নামিবিয়াকে। টস জিতে নিউ জিল্যান্ডকে ব্যাট করতে পাঠায় নামিবিয়া। চোদ্দ ওভারের শেষে নিউ জিল্যান্ড ৮৭-৪ তুলে খুব একটা স্বস্তিতে ছিল না। কিন্তু শেষ ছয় ওভারে ৭৬ রান তুলে তারা কুড়ি ওভারের শেষে পৌছে যায় ১৬৩-৪ স্কোরে। পঞ্চম উইকেটে জিমি নিশাম এবং গ্লেন ফিলিপস ৭৬ রান তুলে ম্যাচটাকে নামিবিয়ার নাগালের বাইরে নিয়ে চলে যান। ফিলিপস ২১ বলে ৩৯ এবং নিশাম ২৩ বলে ৩৫ করে অপরাজিত থেকে যান। জবাবে নামিবিয়া করে সাত উইকেটে ১১১ এবং হেরে যায় ৫২ রানে। অপরাজিত ৩৫ রানের সঙ্গে এক ওভার বল করে ছয় রানে একটা উইকেট তুলে নেওয়ার জন্য ম্যাচের সেরা জিমি নিশাম। দুই নম্বর গ্রুপে চার ম্যাচ খেলে নিউ জিল্যান্ডের পয়েন্ট এখন ৬। রবিবার তারা গ্রুপে শেষ ম্যাচ খেলবে আফগানিস্তানের সঙ্গে। সেই ম্যাচ জিততে পারলে সেমিফাইনালে চলে যাবে নিউ জিল্যান্ড। এই গ্রুপ থেকে ইতিমধ্যেই শেষ চারে চলে গেছে পাকিস্তান।
টস জিতে ফিল্ডিং নেওয়া এবারের বিশ্ব কাপে একটা নিয়ম হয়ে গেছে। সে পিচের অবস্থা কিংবা আবহাওয়া যাই হোক না কেন। নামিবিয়াও তার ব্যাতিক্রম ছিল না। কিন্তু তারা প্রথম দিকে একটু সফলই বলা যায়। দুই ওপেনার মার্টিন গাপ্টিল (১৮ বলে ১৮) এবং ড্যারেল মিচেল (১৫ বলে ১৯) পাওয়ার প্লের একটু পরেই আউট হয়ে যান। ৬.২ ওভারে রান তখন ৪৩। এখান থেকে অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন এবং উইকেট কিপার ডেভন কনওয়ে ভাল ব্যাটিং করে দলকে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন। কিন্তু ৮১ রানের মাথায় ফিরে যান উইলিয়ামসন। ২৫ বলে ২৮ রান করেন তিনি। মেরেছেন দুটি বাউন্ডারির সঙ্গে একটি ওভার বাউন্ডারিও। একটু পরেই রান আউট হয়ে যান ডেভন কনওয়ে। ১৮ বলে ১৭ রান করেন তিনি। তখন নিউ জিল্যান্ডের উপর একটু হলেও চেপে বসেছে নামিবিয়া। তবে তাদের হাত থেকে ম্যাচটা কেড়ে নেন জিমি নিশাম এবং গ্লেন ফিলিপস। নিশামের অপরাজিত ৩৫ রানে ছিল একটি বাউন্ডারি এবং দুটি ওভার বাউন্ডারি। আর ফিলিপসের অপরাজিত ৩৯ রানে ছিল একটি বাউন্ডারির সঙ্গে তিনটি ওভারবাউন্ডারিও।
কুড়ি ওভারে ১৬৪ রান তুলে ম্যাচ জেতার ক্ষমতা নামিবিয়ার ছিল না। বিশেষ করে এমন একটা দলের বিরুদ্ধে যাদের আক্রমণে আছেন ট্রেন্ট বোল্ট এবং টিম সাউদির মতো বোলার। দুজনেই চার ওভার বল করে দুটি করে উইকেট পেয়েছেন। সাউদি দুই উইকেট পেয়েছেন পনেরো রানে আর বোল্ট দুই উইকেট পেয়েছেন কুড়ি রান দিয়ে। তবু এরই মধ্যে মাইকেল ভান লিঞ্জেনের ২৫, জেন গ্রিনের ২৩ এবং স্টিফেন বার্ডের ২১ রানের সাহায্যে নামিবিয়া একশোর গণ্ডি পেরোতে পারল। তবে সেটা ম্যাচ জেতার জন্য যথেষ্ট ছিল না।
রবিবাসরীয় দুপুরে আবু ধাবির শেখ জয়েদ স্টেডিয়ামে নিউ জিল্যান্ডের লড়াই এখন আফগানিস্তানের সঙ্গে। সেই ম্যাচ না জিতলে তাদের পক্ষে সেমিফাইনালে যাওয়ার রাস্তাটা বন্ধ হয়ে যাবে।