নয়া দিল্লি: নবজাতক পাচারের মতো জঘন্য ঘটনার অভিযোগে কঠোর পদক্ষেপের ‘সুপ্রিম’ (Supreme Court) নির্দেশ। এমন ক্ষেত্রে শুধু ফৌজদারি মামলা নয়, পরিচালন গত ক্ষেত্রেও ব্যবস্থা গ্রহণ জরুরি। যাতে সেই হাসপাতালের কার্যক্রম বন্ধ হয়। কারণ, যখন কোনও মহিলা সন্তানের জন্ম দিতে আসেন, তখন সেই নবজাতকের যাবতীয় সুরক্ষার দায়িত্ব হাসপাতাল প্রশাসনের। অভিমত সহ নির্দেশ বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা ও বিচারপতি আর মহাদেবনের।
দেশের প্রতিটি নাগরিক তথা অভিভাবকদের নবজাতক সন্তানের প্রতি কড়া নজরদারি রাখার পাশাপাশি যত্নবান হওয়ার আবেদন। কারণ সামান্য গাফিলতি বা অবহেলার কারণে মারাত্মক ক্ষতি হয়ে যেতে পারে। কোন সন্তান মারা গেলে অভিভাবকদের যে যন্ত্রনা হয় সেটা আলাদা। কিন্তু, সন্তান পাচার হয়ে গেলে সেই ক্ষতি অচিন্ত্যনীয়। কারণ প্রথম ক্ষেত্রে সময়ের সঙ্গে সেই ক্ষতে প্রলেপ পড়ার সম্ভাবনা থাকে। কিন্তু দ্বিতীয় ক্ষেত্রে সারাজীবন সেই যন্ত্রণা বহন করতে হয়। যা মৃত্যুর চেয়েও মারাত্মক। অভিমত আদালতের।
আরও পড়ুন: ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় সোনিয়া, রাহুলের বিরুদ্ধে ইডির চার্জশিট
উত্তরপ্রদেশের বিভিন্ন প্রান্তে শিশু পাচারে অভিযুক্ত তেরো জনের জামিন বাতিল করতে গিয়ে অভিমত আদালতের। নিম্ন আদালতে এই অভিযুক্তদের জামিন হয়ে যাওয়ায় পুলিশ প্রশাসনের তীব্র সমালোচনায় আদালত। অভিযুক্তদের একাংশকে জামিন দেওয়ায় এলাহাবাদ হাইকোর্টের আচরণ অত্যন্ত অনুভূতিহীন বলেও সুপ্রিম অভিমত।
প্রসঙ্গত, ১৪ এপ্রিল প্রকাশিত একটি সংবাদ অনুযায়ী দিল্লি এবং তার আশপাশের এলাকায় একটি বিশাল চক্র শিশু অপহরণ ও পাচার করে পাঁচ থেকে দশ লক্ষ টাকার বিনিময়ে বিক্রির ব্যবসা করছে। স্মার্টফোনের মাধ্যমে শিশু অপহরণ থেকে শুরু করে তাদের ছবি ও আর্থিক লেনদেন এবং অন্যান্য পরিকল্পনা সুচারুভাবে এই চক্র সম্পন্ন করছে বলে মনে করা হচ্ছে।
দেখুন আরও খবর: