দিল্লি: গত শনিবার শিয়ালদহ আদালতের তরফ থেকে আরজি কর মামলায় দোষী সাব্যস্ত করা হয় আরজি কর কাণ্ডের একমাত্র দোষী সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়কে। আর তারপর সোমবার তাকে আজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা ঘোষণা করা হয়। কিন্তু তাতে খুশি নন কেউই। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে চিকিৎসক সংগঠন, নির্যাতিতার পরিবার সকলেই এক শারিতে দাঁড়িয়ে এখন। কেন? কারণ তাঁরা সকলেই চান এই নৃশংস ঘটনায় সঞ্জয় রায়ের ফাঁসি। সঞ্জয়কে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর এই মামলার প্রথম শুনানি ছিল আজ বুধবার সুপ্রিম কোর্টে। কিন্তু আজকের শুনানি পিছিয়ে গেল সেই শুনানি। তার বদলে এই মামলার শুনানি হতে চলেছে আগামী সপ্তাহের বুধবার। ২৯ জানুয়ারি হবে এই মামলার শুনানি, বিচারপতি সঞ্জীব খন্না, বিচারপতি সঞ্জয় কুমার এবং বিচারপতি কেভি বিশ্বনাথনের বেঞ্চে।
আরও পড়ুন: বুধবারই সুপ্রিম কোর্টে আরজি কর মামলার শুনানি
কোর্টের তরফ থেকে এই ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত করা হয় সঞ্জয় রায়কে। কিন্তু নির্যাতিতার বাবা-মায়ের সাফ দাবি সঞ্জয় যেমন দোষী, এই ঘটনায় আরও বেশ কয়েকজন দোষী রয়েছে। তাদের প্রশ্ন, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই কেন বাকিদের চিহ্নিত করছেনা। সিবিআইয়ের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন করছেন তারা। আর আজ সুপ্রিম কোর্টে সেই মামলার শুনানি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু পিছিয়ে গেল সেই মামলা। জানা যাচ্ছে, আগামী সপ্তাহের বুধবার অর্থাৎ ২৯ জানুয়ারি দুপুর ২ টো থেকে হবে এই মামলার শুনানি।
উল্লেখ্য, ২০২৪ এর ৯ অগাস্ট আরজি করে ঘটে যায় মর্মান্তিক ঘটনা। কর্মরত অবস্থায় এক জুনিয়র চিকিৎসককে ওঠে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ। আর তারপর থেকেই উত্তাল হয় রাজ্য রাজনীতি। দিকে দিকে প্রতিবাদের ঝড় উঠে। চিকিৎসকদের প্রতিবাদের ডাকে তিলোত্তমার বিচারের দাবিতে রাত জাগেন সকলেই। শুধুমাত্র কলকাতা নয়, বঙ্গ সহ ভারতবর্ষের বিভিন্ন প্রান্তে দেখা যায় প্রতিবাদের আঁচ। প্রথমে এই ঘটনার তদন্তে নামে রাজ্য পুলিশ। ঘটনায় গ্রেফতার করা হয় সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়কে। তারপর কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই এই ঘটনার তদন্তে নেমে গ্রেফতার করে সঞ্জয় রায়কে। পরে অবশ্য গ্রেফতার করা হয় আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ এবং টালা থানার ওসি অভিজিৎ অভিজিৎ মন্ডলকে। কিন্তু সিবিআই ৯০ দিন পেরিয়ে গেলেও সঠিক চার্জশিট তাদের বিরুদ্ধে জমা দিতে না পারায় এই কেস থেকে অব্যাহতি পান তারা।
দেখুন অন্য খবর