ঢাকা: বাংলাদেশে শেখ হাসিনার দল আওয়ামি লিগকে কোণঠাসা করতে আরও বড় পদক্ষেপ নিল ইউনুস সরকার। এবার হাসিনার আমলের অনেক সাংসদের আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স বাতিল করল অন্তর্বর্তী সরকার। বাংলাদেশি সংবাদমাধ্যম ‘প্রথম আলো’ সূত্রে জানা গিয়েছে, মোট ৭৭৮টি ‘গান লাইসেন্স’ বাতিল করা হয়েছে। এর মধ্যে বেশিরভাগই রয়েছে সেদেশের সংসদ সদস্যদের। জানা গিয়েছে, হাসিনা সরকারের পতনের পরই এইসব সাংসদদের আগ্নেয়াস্ত্র সমর্পন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল ইউনুস সরকারের তরফে। তবে সঠিক সময়ে তাঁরা নিজেদের অস্ত্র জমা না দেওয়ার কারণে এবার তাঁদের লাইসেন্স বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিল অন্তর্বর্তী সরকার। কিন্তু এখন প্রশ্ন হচ্ছে, কী কারণে শেখ হাসিনার আমলে সাংসদ পদে থাকা সংসদীয় সদস্যদের আগ্নেয়াস্ত্র জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল ইউনুস সরকার? চলুন, সেটা এবার বিস্তারে জেনে নেওয়া যাক।
আরও পড়ুন: পশ্চিমবঙ্গ সীমান্তে আচমকা আঘাত হানতে সক্ষম ড্রোন মোতায়েন বাংলাদেশের? সতর্ক ভারত
শেখ হাসিনার দেশত্যাগের পর দেশের প্রশাসনিক ব্যবস্থায় একাধিক সংশোধন করার পদক্ষেপ নিতে উদ্যোগী হয়েছে ইউনুস সরকার। সেই সময় এই অভিযোগ সামনে আসে, হাসিনার আমলে সরকারি কর্মকর্তারা বেআইনিভাবে আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করে ভয় দেখাতেন। যদিও বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী, শুধুমাত্র আত্মরক্ষার জন্যই আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স দেওয়া যায়। কিন্তু আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে আগ্নেয়াস্ত্রের ব্যবহার হত বলে অভিযোগ করেছিলেন অনেকেই। হাসিনা সরকারের পতনের পর এইসব সরকারি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়। তারপরই তাঁদের অস্ত্র সমর্পন করার নির্দেশ দিয়ে ‘ডেডলাইন’ বেঁধে দেওয়া হয়। যারা এই নির্দেশিকা মানেননি, তাঁদের লাইসেন্স এবার বাতিল করল ইউনুস সরকার।
দেখুন আরও খবর: