ওয়েব ডেস্ক: ক্ষমতায় ফিরেই জো বাইডেনের ( Joe Biden) বিরুদ্ধে ‘বদলা’ নিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)! এবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেনের বিশেষ ছাড়পত্র প্রত্যাহার করলেন ট্রাম্প, যার ফলে আর কোনও গোপন নথি হাতে পাবেন না বাইডেন। এই পদক্ষেপের মাধ্যমে বাইডেনকে তাঁরই নেওয়া এক সিদ্ধান্তের স্মৃতি ফিরিয়ে দিলেন ট্রাম্প। ২০২১ সালে প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর তিনিও ট্রাম্পের বিশেষ ছাড়পত্র কেড়ে নিয়েছিলেন। এবার পাল্টা আঘাত করলেন ট্রাম্প। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, ‘‘বাইডেনের গোপন তথ্য পাওয়ার আর কোনও প্রয়োজন নেই, তাই আমরা তাঁর বিশেষ ছাড়পত্র প্রত্যাহার করছি।’’ এই ঘোষণার পর থেকেই মার্কিন রাজনীতিতে ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।
শুধু ছাড়পত্র প্রত্যাহারই নয়, বাইডেনের স্মৃতিশক্তি নিয়েও কটাক্ষ করেছেন ট্রাম্প। তিনি লিখেছেন, ‘‘বিভিন্ন রিপোর্টে দেখা গিয়েছে, বাইডেনের স্মৃতিশক্তি দুর্বল। জাতীয় নিরাপত্তার গুরুত্বপূর্ণ তথ্য তাঁর হাতে দেওয়া নিরাপদ নয়। আমি দেশের নিরাপত্তা নিয়ে কোনও ঝুঁকি নিতে পারব না। বাইডেনের সময় শেষ, এবার মহান আমেরিকা গড়ব।’’ ট্রাম্পের এই মন্তব্যকে তাঁর ‘প্রতিশোধের রাজনীতি’র প্রকাশ হিসেবেই দেখছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। কারণ, ২০২১ সালে ক্যাপিটল হিলে হামলার পর বাইডেন বলেছিলেন, ট্রাম্পের আচরণ সংযত নয়, তিনি গোপন নথি পাওয়ার যোগ্য নন। এবার সেই একই যুক্তি দিয়ে বাইডেনের ছাড়পত্র কেড়ে নিলেন ট্রাম্প।
আরও পড়ুন: পুতিনকে ‘ইডিয়ট’ বলে কটাক্ষ করতেই রহস্য মৃত্যু রুশ গায়কের
বিশেষ ছাড়পত্র হল এমন একটি ক্ষমতা, যা সাধারণত আমেরিকার প্রাক্তন প্রেসিডেন্টদের হাতে থাকে। এই ছাড়পত্রের মাধ্যমে তাঁরা এফবিআই, সিআইএ-র গোপন তথ্য দেখতে পারেন, প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ নথিও তাঁদের সামনে আসে। এমনকি, তাঁদের নিরাপত্তার ক্ষেত্রেও বিশেষ সুবিধা দেওয়া হয়। ২০২১ সালে বাইডেন প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর ক্যাপিটল হিলে হামলার জন্য ট্রাম্পের এই বিশেষ অধিকার কেড়ে নিয়েছিলেন। এবার ট্রাম্পও একই পথে হেঁটে বাইডেনের হাত থেকে সেই সুযোগ ছিনিয়ে নিলেন।
এদিকে, ট্রাম্পের ক্ষমতায় ফেরা যে অনেকের জন্য বিপজ্জনক হতে পারে, তা আগেই আঁচ করেছিলেন বাইডেন। তাই ক্ষমতা ছাড়ার আগে তিনি কিছু গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিকে সুরক্ষার ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন। তাঁর প্রেসিডেন্ট পদের শেষলগ্নে তিনি ‘কোভিড যোদ্ধা’ অ্যান্টনি ফাউচি এবং প্রাক্তন সেনাকর্তা মার্ক মাইলিকে ‘রক্ষাকবচ’ দিয়েছিলেন। তিনি প্রেসিডেনশিয়াল ক্ষমতা ব্যবহার করে তাঁদের ‘প্রেসিডেনশিয়াল পার্ডন’ বা আনুষ্ঠানিক ক্ষমার শংসাপত্র দিয়েছিলেন, যা সাধারণত অপরাধীদের দেওয়া হয়।
তবে ফাউচি ও মাইলির বিরুদ্ধে এখনও কোনও মামলা হয়নি, এমনকি তাঁদের কোনও অপরাধেও দোষী সাব্যস্ত করা হয়নি। কিন্তু বাইডেন জানতেন, ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হলে এই ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারেন। তাই আগেভাগেই তাঁদের রক্ষা করার পদক্ষেপ নিয়েছিলেন তিনি। এবার পাল্টা চাল দিলেন ট্রাম্প। তাঁর সিদ্ধান্ত মার্কিন রাজনীতিতে বড় ধরনের প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
দেখুন আরও খবর: