ওয়েব ডেস্ক: অটোমান সাম্রাজ্যের হারানো ঐতিজ্য ফিরিয়ে আনতে বদ্ধ পরিকর তুরস্ক। সামরিক খাতে রীতিমতো বিল্পব ঘটিয়ে ফেলেছে এই দেশ। যার নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্কের এ যুগের ‘সুলতান’ দেশের প্রেসিডেন্ট ক্রিসের তায়ের এরদোয়ান। এই বিল্পবের কারিগর হিসেবে কাজ করেছেন এরদোয়ানের সাম্ভব্য উত্তরসূরি বায়ের আখতার। তুরস্কের প্রেসিডেন্টের জামাতা সেলচুক বায়ের আখতারের তৈরি ড্রোন এখন বিশ্বের সামরিক খাতে এক বড় নাম হয়ে উঠেছে।
আরও পড়ুন: পারমাণবিক শক্তি বৃদ্ধি করছে ইরান, আমেরিকার বিপদ বাড়বে?
ইউরোপের দেশ হলেও তুরস্ককে পশ্চিমারা কখনই নিজেদের অংশ হিসেবে মেনে নেয়নি। ন্যাটো জোটের অন্তর্ভুক্ত না হলেও যুক্তরাষ্ট্রের কাছে মাথা না নোয়ানোয় বরাবরই তুরস্কের সঙ্গে বিরুপ সম্পর্ক পশ্চিমাদের। ইউরোপ ও ন্যাটোর প্রথাগত বিরোধিতার বাইরে গিয়ে রাশিয়া ও চীনের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখেছেন এরদোয়ান। যার জেরে বারবার পশ্চিমাদের রোষানলে পড়েছে তুরস্ক। যদিও বিরোধিতা আশীর্বাদ হয়েছে এরদোয়ানের জন্য।
তুরস্কের বিচ্ছিন্নতাবাদী সন্ত্রাসী গোষ্ঠী কুরতিদের উপর হামলা হতে পারে, এমন অভিযোগে এরদোয়ানের দেশের সঙ্গে সামরিক ড্রোন রপ্তানিতে রাশ টানে আমেরিকা। তারপরই এরদোয়ান নিজের কাঁধে তুলে নেয় ড্রোন তৈরি দায়ভার। মাত্র সাড়ে তিন বছরের মাথায় ‘বায়ের আখতার টিবি২’ ড্রোনের আবিষ্কার করে তাক লাগিয়ে দেয় পশ্চিমাদের। নিজস্ব প্রযুক্তি তৈরি এই ড্রোন কিনতে বর্তমানে লাইন লেগেছে। হাজার হাজার বিলিয়ন ডলার ব্যয় করে প্রথম বিশ্বের দেশগুলিও এই ড্রোন কিনতে মরিয়া।
দেখুন আরও খবর: