লখনউ: সোশ্যাল মিডিয়ায় এখন খবর একটাই। বিরাট কোহলি (Virat Kohli) এবং গৌতম গম্ভীরের (Gautam Gambhir) ঝামেলা। সোমবার লখনউ সুপার জায়ান্টস (LSG) বনাম রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর (RCB) ম্যাচের পর অভূতপূর্ব সব দৃশ্য দেখা যায়। কোনওটাই অবশ্য ক্রিকেটীয় স্পিরিটের উদাহরণ নয়। একবার করমর্দনের সময় আফগান বোলার নবীন উল হকের (Naveen Ul Haq) সঙ্গে এবং পরে গম্ভীরের সঙ্গে ঝামেলায় জড়ান কোহলি। জল এতদূর গড়ায় যে কোহলি এবং গম্ভীর, দুজনেরই ম্যাচ ফির একশো শতাংশ কাটা গিয়েছে। নবীনের ৫০ শতাংশ জরিমানা হয়েছে। এই ঘটনা মেনে নিতে পারছেন প্রাক্তন ভারতীয় অফস্পিনার হরভজন সিং (Harbhajan Singh)।
২০০৮ সালের উদ্বোধনী আইপিএলে ঝামেলায় জড়িয়েছিলেন হরভজন। শান্তাকুমারন শ্রীসন্থকে (Shantakumaran Shreesanth) চড় কষিয়ে দিয়েছিলেন তিনি এবং শ্রীসন্থের কান্নাকাটি করার দৃশ্য এখনও ভোলার নয়। সেই ঘটনায় এখনও লজ্জিত বোধ করেন ভারতীয় অফস্পিনার। সোমবার কোহলি-গম্ভীর ইস্যুতে সেই কথাই বললেন তিনি। টার্বুনেটর বলেন, ২০০৮ সালে শ্রীসন্থের সঙ্গে যা করেছিলাম তার জন্য লজ্জিত। বিরাট কোহলি একজন কিংবদন্তি। এসব ব্যাপারে তাঁর জড়ানো উচিত নয়। বিরাট এবং গম্ভীরের মধ্যে যা ঘটেছে তা ক্রিকেটের জন্য ঠিক নয়।
আরও পড়ুন: IPL 2023 | KKR | শুভমানকে ছেড়ে ভুল করেছে কেকেআর! মানতেই চাইছেন না সিইও
২০১১ সালে ভারত যখন বিশ্বকাপ জেতে দিল্লির দুই ক্রিকেটারই তখন একই সঙ্গে মাঠ কাঁপিয়েছেন। তবে আইপিএলেরই এক ম্যাচে স্পষ্ট হয়ে যায় কোহলি-গম্ভীরের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক নেই। ২০১৩ সালে গম্ভীর কেকেআরের অধিনায়ক থাকাকালীন একটি ম্যাচে দু’জনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। শুধু শব্দের লড়াইয়ে থেমে থাকেননি তাঁরা, একে ওপরকে ধাক্কাও দিয়েছিলেন। এরপর থেকে বহু চর্চা হয়েছে তাঁদের সম্পর্ক ঘিরে। এবারের আইপিএলেও মাথা ঠান্ডা রাখতে পারেনি বিরাট-গৌতম জুটি। আরসিবির হোম গ্রাউন্ডে ম্যাচ জেতার পর মুখে আঙুল দিয়ে চুপ থাকতে বলেছিলেন এলএসজির মেন্টর গৌতম গম্ভীর। একই প্রতিক্রিয়া সোমবারের ম্যাচে ফিরিয়ে দেন আরসিবির প্রাক্তন অধিনায়ক। তিনিও মুখে আঙুল দিয়ে দেখান ‘চুপ থাকো’।
ঝামেলা এখানেই থেমে থাকেনি। ম্যাচ হারার পর লখনউয়ের ওপেনার কাইল মেয়ার্স বিরাটের সঙ্গে কথা বলতে এসেছিলেন। দলের মেন্টর গম্ভীর এসে মেয়ার্সকে হাত ধরে টেনে নিয়ে চলে যান। তখন ফের কিছু বলে ওঠেন বিরাট। লখনউয়ের অধিনায়ক কে এল রাহুল সহ বাকিরা গম্ভীরকে সরিয়ে আনার চেষ্টা করলেও আটকে রাখতে পারেননি। বিরাটও ইতিমধ্যে এগিয়ে এসেছেন, গম্ভীরকে কাঁধে হাত রেখে কিছু বোঝানোর চেষ্টা করেছেন। বেশ কিছুক্ষণ পর আরসিবি অধিনায়ক ফাফ ডুপ্লেসি এসে বিরাটকে সরিয়ে নিয়ে যান। আর লখনউয়ের সদস্যরা তাঁদের মেন্টরকে।