সোনারপুর: বর্ষার জন্য অপেক্ষা করে থেকে শেষে নাছোড় বৃষ্টি (Rain) নেমেছে কলকাতা (Kolkata) সহ গোটা দক্ষিণবঙ্গে (South Bengal)। কখনও হাল্কা, কখনও একটানা বৃষ্টি হয়েই চলেছে। বৃষ্টি হলেই ভোগান্তিতে পড়তে হয় সোনারপুর (Sonarpur) পুরসভার বিস্তীর্ণ এলাকার কয়েক হাজার বাসিন্দাকে। এ যেন প্রতি বর্যার রোজনামচায় পরিণত হয়েছে। এই বৃষ্টিতেও ঘরবন্দি হয়ে কাটাতে হচ্ছে সোনারপুরের বাসিন্দাদের। রাস্তাঘাটের হাল খুবই খারাপ। জলমগ্ন হয়ে পড়েছে রাজপুর সোনারপুর পুরসভার গড়িয়া, সোনারপুর, মিশনপল্লি, সুভাষগ্রাম, রাজপুরের বিস্তীর্ণ এলাকা।
টানা বৃষ্টির জেরে দুর্ভোগের মধ্যে পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। যাতায়াতের ক্ষেত্রে দ্বিগুণ ভাড়া দিতে হচ্ছে। বিভিন্ন স্কুলের সামনেও জল। তার মধ্যেই ছাত্রছাত্রীদের যাতায়াত করতে হচ্ছে। রাজপুর-সোনারপুর পুরসভার চেয়ারম্যান পল্লব দাস জানিয়েছেন, বিভিন্ন জায়গায় পুরসভার কর্মীরা কাজ করছেন। গড়িয়া, বোড়াল, মহামায়াতলা, সুভাষগ্রামে পাম্প বসানো হয়েছে। বেশি বৃষ্টি হলে কোনও এলাকা যদি জলে ডুবে যায় সেক্ষেত্রে আপৎকালীন ব্যবস্থা হিসেবে বিভিন্ন স্কুলবাড়ি তৈরি রাখা হয়েছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: জল ছাড়ছে ডিভিসি, প্লাবিত হাওড়া-হুগলির বিস্তীর্ণ এলাকা
টানা বৃষ্টি ও জলোচ্ছ্বাসের জেরে বুধবার ভোরে দক্ষিণ ২৪ পরগনার গঙ্গাসাগর গ্রাম পঞ্চায়েতের মহিষামারি গ্রামের হুগলি নদীর বাঁধে বড়সড় ধস নেমেছে। প্রায় ১০০ মিটার মাটির বাঁধ নদীগর্ভে তলিয়ে যেতে শুরু করেছে। এই বাঁধের পাশেই রয়েছে গ্রাম। প্রচুর জনবসতি। বাঁধ ভেঙে জল ঢোকার আশঙ্কা করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। দ্রুত বাঁধ মেরামতির দাবি জানিয়েছেন এলাকার মানুষ।
দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় এই নিম্নচাপের প্রভাবে বৃষ্টি চলছে। সকাল থেকেই দফায় দফায় চলছে ঝিরঝিরে বৃষ্টি। আজ সারাদিন বিভিন্ন জেলায় কোথাও ভারী, অতিভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। সঙ্গে চলবে ঝোড়ো হাওয়া। হাওয়া অফিস জানিয়েছে, উপকূলের জেলাগুলিতে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের ১৪ জেলাতে ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি হয়েছে। মুষলধারে বৃষ্টির সতর্কতা রয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং ঝাড়গ্রাম জেলায়। ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা কলকাতা সহ হাওড়া হুগলি বাঁকুড়া পুরুলিয়া পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান জেলায়।
দেখুন আরও অন্য খবর: