মহেশতলা: মহেশতলার (Maheshtala) মেহমানপুরের সুকান্ত পল্লি এলাকায় হাইকোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশে ভাঙা হচ্ছে একটি বহুতল বাড়ি। হাইকোর্টের নির্দেশ মতোই পুরসভা সেই বাড়ি ভাঙার কাজ শুরু করেছে। কিন্তু অভিযোগ উঠেছে, ‘তোলাবাজ’ কাউন্সিলরের প্রভাবেই চলছে এই কাজ, তৈরি হয়েছে বিতর্ক। পুরসভার দাবি, বহুতল বাড়িটি নির্মাণ করা হয়েছিল বিনা প্ল্যানে এবং বহুতল নির্মাণের ক্ষেত্রে পুরসভার যে অনুমতি লাগে তা ছিল না। এছাড়া জায়গা জবরদখলেরও অভিযোগ ছিল। এরপরই হাইকোর্টে মামলা দায়ের হয়। তারপরই হাইকোর্টের নির্দেশ মতো ভাঙার কাজ শুরু হয়।
বাড়ির মালিক শেখ আলমগিরের (Sheikh Alamgir) অভিযোগ, মহেশতলার যে জায়গায় তিনি বাড়ি নির্মাণ করেছেন সেটা ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের মধ্যে পড়লেও তার কাছ থেকে ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বাবুল সর্দার (Babul Sardar) প্রথমে ১০ লক্ষ এবং পরে ১৭ লক্ষ টাকা ‘তোলা’ চেয়েছিলেন। জমি দখলের বিষয়ে বাড়ির মালিক জানান, মামলাকারীর কোনও জায়গা নেই। তোলার টাকা না দেওয়াতেই কাউন্সিলর বাবুল সর্দারের মদতে হাইকোর্টে মামলা করা হয়। ওয়ারিশান সার্টিফিকেট করার জন্য বাবুলকে ৬০,০০০ টাকা দিয়েছিলেন বলেও অভিযোগ শেখ আলমগিরের।
আরও পড়ুন: রেলসেতুর মেরামতির কাজ, ১০০ ঘণ্টা বন্ধ থাকবে বালি ব্রিজ
অন্যদিকে ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জানান, জমি সংক্রান্ত বিষয়ে মঞ্জুরা বিবি নামে এক মহিলার সঙ্গে আলমগিরের দীর্ঘদিনের সমস্যা। পুরসভা বহুবার নিষেধ করেছে তা সত্ত্বেও তিনি বাড়ি নির্মাণ করেছেন। বহুতলের বিল্ডিং প্ল্যান নেই এছাড়াও তিনতলা বিল্ডিং করতে গেলে পুরসভার যে ছাড়পত্র লাগে তা নেই। জমি দখল করা হয়েছে। হাইকোর্টের নির্দেশ মতোই বিল্ডিং ভাঙা হচ্ছে। তোলা চাওয়ার বিষয়ে কাউন্সিলর বলেন, “উনি প্রমাণ দিক, প্রমাণ দিতে পারলে যা শাস্তি দেবে মাথা পেতে নেব।”
দেখুন অন্য খবর: