বিএড পাশ করা পরীক্ষার্থীরা যদি প্রাইমারি টেটে (TET) বসতে পারে, তবে বিএড স্পেশালরাও নয় কেন? প্রশ্ন তুলে মামলা দায়ের হয় কলকাতা হাইকোর্টে। যার জেরে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ আর ন্যাশনাল কাউন্সিল টেকনিক্যাল এডুকেশন-এর তরফ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়, বিএড স্পেশালরা বসতে পারবে না প্রাইমারি টেটে। কিন্তু সে নির্দেশ খারিজ হয়ে গেল হাইকোর্টে।
প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে (WBBPE) আদালত-এর নির্দেশ, যারা বিএড স্পেশাল ফর্ম ভর্তি করেছেন প্রত্যেককে অ্যাডমিট কার্ড দিতে হবে। এই মামলার পরের শুনানি ৬ ডিসেম্বর। উল্লেখ্য, আগামী ১১ ডিসেম্বর প্রাইমারি টেটের পরীক্ষা। ইতিমধ্যে অনেকদূর জল গড়িয়েছে টেট দুর্নীতি মামলায়। ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য।
বেশ কিছু বেআইনি নিয়োগ আদালতের নির্দেশে বাতিল হয়েছে। রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর (PARESH ADHIKARI) মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীর চাকরিও বাতিল করে সেই পদে ববিতা সরকার নামে অন্য এক আবেদনকারীকে নিয়োগের নির্দেশ দেয় আদালত। ইতিমধ্যে ওই মামলায় সিবিআই এবং ইডি-র তদন্তেও বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উঠে এসেছে।
তার মধ্যে ইডি-র তরফে দাবি করা হয়, মানিক ভট্টচার্যের (MANIK BHATTACHARYA) বাড়িতে তল্লাশির সময় একটি চিঠি পাওয়া গিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীকে লেখা ওই চিঠিতে দাবি করা হয়েছিল, অন্তত ৫৫ জন অযোগ্য প্রার্থীকে চাকরি দেওয়া হয়েছিল। আর প্রত্যেক প্রার্থীর কাছ থেকে সাত লাখ টাকা করে নেওয়া হয়। অপসারিত প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন চেয়ারম্যানের বাড়িতে পাওয়া দুটি সিডিতেও ওই ৫৫ জন প্রার্থীর নাম উল্লেখ ছিল।
ইতিমধ্যে গরু পাচার কাণ্ডে সিবিআই হেফাজতে থাকা তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ের টেট পাসের ব্যাপারেও ইতিমধ্যে জল্পনা তৈরি হয়েছে নানা মহলে।