কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: সিবিআই, ইডির নিরপেক্ষতার দাবিতে পথে নেমে তৃণমূল নেতারা বিরোধীদের উদ্দেশে শনিবার বিভিন্ন জেলায় হুমকি দিলেন। চুঁচুড়ায় সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে বলতে শোনা গেল, মমতাদি বলেছিলেন, বদলা নয়, বদল চাই। আমি বলছি, বদল নয়, এখন বদলা চাই। হুগলি জেলার বিধায়ক অসিত মজুমদার বলেন, বিরোধীরা আমাদের চোর বললে পাল্টা মার দিতে হবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেকের নামে খারাপ কথা বললে ধোলাই হবে, পেটাই হবে। বীরভূমে দুবরাজপুর পুরসভার চেয়ারম্যান পীযূষ পাণ্ডে বলেন, কয়েকদিন ধরে দেখছি, বিজেপি, সিপিএমের লোকেরা খুব নাচানাচি করছে। বিধানসভা ভোটে সব গর্তে ঢুকে গিয়েছিল। ওদের দেখে রাখলাম। আবার ওদের গর্তে ঢুকিয়ে দেব। সিমেন্ট দিয়ে মুখ বন্ধ করে দেব। এদিন অনেক জেলাতেই তৃণমূলের ছোট বড় নেতাদের এই ভাষাতেই হুমকি দিতে শোনা গিয়েছে।
শাসকদল অবশ্য সরকারিভাবে নেতাদের এইসব হুমকির নিন্দা করেনি। তবে প্রবীণ সাংসদ সৌগত রায় বলেন, এসব না বলাই ভালো। পার্থ চট্টোপাধ্যায় গ্রেফতার হওয়ার পর চুঁচুড়াতেই বিজেপির এক মিছিলে তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে চোর চোর স্লোগান উঠেছিল। সেই সময় অসিত মজুমদারের গাড়ি বিজেপির মিছিলের পাশ দিয়ে যাচ্ছিল। তিনি গাড়ি থেকে নেমে বিজেপি সমর্থকদের দিকে তেড়ে যান। অন্য তৃণমূল কর্মীরা জুটে যান। বিজেপি কর্মীদের হাত থেকে পতাকা কেড়ে নিয়ে তাদেরই মারতে যান অসিত। দুই দলের মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। পুলিশ এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়। কয়েকজন বিজেপি কর্মীকে আটক করা হয়।
গরু পাচার কাণ্ডে বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল গ্রেফতার হওয়ার দিনই তৃণমূল নেতৃত্ব ঘোষণা করেন, শুক্র এবং শনিবার জেলায় জেলায়, ব্লকে ব্লকে ইডি, সিবিআইয়ের নিরপেক্ষতার দাবিতে দলের ছাত্র ও যুবরা রাস্তায় নামবে। সেইমতোই দুদিন ধরে তৃণমূলের বিক্ষোভ কর্মসূচি চলছে।
তৃণমূল নেতাদের এই হুমকির প্রসঙ্গে সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী বলেন, তৃণমূল নেতারা গলার রগ ফুলিয়ে অনেক কিছু বলতে পারেন। বাস্তব ঘটনা হল, টাকা মারা তৃণমূল নেতাকে না পেয়ে জনতা তাঁর ছেলেকে ধরে পেটাচ্ছে। এই গণপ্রহার আমরা সমর্থন করি না। তৃণমূল নেতারা কি বুঝতে পারছেন না, এটাই এখন মানুষের মেজাজ?