কলকাতা: কলকাতা শহরে ডেঙ্গির বাড়বাড়ন্তের জন্য নাগরিকদের অসচেতনতাকেই দায়ী করলেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। শনিবার তিনি বলেন, যে সমস্ত ওয়ার্ডে ডেঙ্গির প্রকোপ বেশি, সেগুলিতে পুরসভা পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখার আপ্রাণ চেষ্টা করছে। তবু বিভিন্ন এলাকায় একাধিক ফ্ল্যাটের ছাদে কিংবা জলের ট্যাঙ্কে মশার লার্ভা পাওয়া যাচ্ছে। মানুষ যদি এখনও সচেতন না হন, তা হলে কোনওভাবেই শহরকে ডেঙ্গিমুক্ত করা যাবে না।
এদিকে শহরবাসীর অভিযোগ, বিভিন্ন ওয়ার্ডে বহু জলাশয়, ফাঁকা জায়গায় মশার চাষ হচ্ছে। অনেক ভ্যাট নিয়মিত পরিষ্কার হয় না। এর জন্যই ডেঙ্গি ছড়াচ্ছে। শুক্রবার সকালেও নাকতলার বাসিন্দা এক তরুণীর মৃত্যু হয় ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে। গত দুমাস ধরে কলকাতা পুরসভার ১০৬ নম্বর ওয়ার্ডের বহু বাসিন্দা ডেঙ্গিতে ভুগছেন বলে স্থানীয়রা জানান। একই হাল হাওড়ার বালিতে। গত দুদিনে বালি এবং কলকাতায় ডেঙ্গিতে মৃত্যু হয়েছে চারজনের।
আরও পড়ুন: Titagarh: টিটাগড় কাণ্ডে গ্রেফতার মূল অভিযুক্ত সহ ৩
ডেঙ্গি পরিস্থিতি নিয়ে আগামী মঙ্গলবার ১২ নম্বর বরো অফিসো সব কাউন্সিলর এবং অফিসারের সঙ্গে বৈঠক করবেন স্বাস্থ্য দফতরের মেয়র পারিষদ তথা ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ। আক্রান্ত এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, পুরসভা নিয়মিত ব্লিচিং ছড়ায় না, জঞ্জাল পরিষ্কার করে না, মশা মারার তেল দেয় না। অবশ্য অতীনের দাবি, যেখানে মশার লার্ভা মেলে, সেখানেই তেল ছড়ানো হয়। তিনিও বলেন, তবে মানুষকেও সচেতন হতে হবে।
এদিকে বালি এবং হাওড়ায় ডেঙ্গিতে আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে বলে জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর। হাওড়া পুরসভা এবার ডেঙ্গি রুখতে পাড়ায় পাড়ায় ফিভার ক্যাম্প চালু করছে। শনিবার বালির রবীন্দ্র ভবনে প্রশাসনিক বৈঠক করেন পুরকর্তারা। স্থানীয় ডাক্তার, ব্যবসায়ী, শিক্ষকদেরও তাতে ডাকা হয়েছিল। প্রশাসন জানায়, তারা ড্রোন উড়িয়ে ডেঙ্গি কবলিত এলাকা চিহ্নিত করছে।