মহা বিকাশ আঘাড়ি সরকারের আদিবাসী উন্নয়নমূলক প্রকল্পগুলি বন্ধ করে দিয়েছে একনাথ শিন্ডের সরকার। এর বিরুদ্ধে এক জনস্বার্থ মামলায় শিন্ডে এবং জোট সরকারের উপমুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়। ওই মামলা থেকে বিশ্বাসযোগ্যতা সংক্রান্ত অংশটুকু মুছে ফেলার নির্দেশ দিল বম্বে হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত এবং বিচারপতি মাধব জামদারের বেঞ্চ বলে, সাংবিধানিক পদাধিকারীদের সম্মান দিতে হবে।
জনস্বার্থ মামলার আবেদনকারী আদিবাসী বিষয়ক সমাজকর্মী গোপাল লাহাঙ্গেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে, উপমুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ, আদিবাসী উন্নয়ন, সমাজকল্যাণ ও ন্যায়, গ্রামোন্নয়ন এবং পূর্ত দফতরের মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে লেখা বক্তব্যের অংশ বাদ দিতে। এও বলা হয়েছে, আবেদনে যেন তাঁদের প্রসঙ্গ না থাকে। বম্বে হাইকোর্টের বক্তব্য, আবেদনে প্রয়োজন ছাড়াই মন্ত্রীদের নামোল্লেখ করা হয়েছে।
লাহাঙ্গের আবেদনে বলা হয়েছে, গত ৯ জুন আদিবাসী অধ্যুষিত জেলাগুলোয় চারটি আশ্রম স্কুল খোলার প্রকল্প করেছিল মহা বিকাশ আঘাড়ি সরকার। কিন্তু ওই সরকারের পতনের পর নতুন সরকার দায়িত্বে এসেই আদিবাসী উন্নয়নমূলক কাজ স্থগিত করে দেন মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে। আরও অভিযোগ, মুখ্যসচিব এম কে শ্রীবাস্তবের মাধ্যমে কিছু নির্দেশিকা জারি করে নতুন সরকার। আদিবাসী উন্নয়ন বিভাগের জি আর সহ সমস্ত বরাদ্দ টাকা বন্ধ করে দেওয়া হয়।
জনস্বার্থ মামলায় দাবি করা হয়েছে, আশ্রম স্কুল এবং হস্টেল নির্মাণ বন্ধ হলে ক্ষতিগ্রস্ত হবে আদিবাসী এলাকার শিশুদের পড়াশোনা। আদালতের কাছে লাহাঙ্গের আবেদন, শিন্ডে সরকারের স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করার নির্দেশ দেওয়া হোক যাতে অবিলম্বে আদিবাসী উন্নয়নের কাজ শুরু ফের হতে পারে। কিন্তু বম্বে হাইকোর্ট মুখ্যমন্ত্রী এবং উপমুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে করা অভিযোগের অংশটি তুলে নেওয়ার নির্দেশ দেয়। বেঞ্চ বলে, আপনারা রাজনৈতিক বিষয়কে এর সঙ্গে গুলিয়ে ফেলছেন।