কলকাতা: জেলবন্দি সুবীরেশ ভট্টাচার্যের (Subires Bhattacharyya) বিরুদ্ধে বিদ্রোহ নিখিল বঙ্গ অধ্যক্ষ পরিষদে (All Bengal Principals’ Council)। অবিলম্বে সুবীরেশকে পরিষদের সভাপতি পদ থেকে অপসারণের জোরালো দাবি উঠল। মঙ্গলবার কলকাতায় আচার্য জগদীশচন্দ্র কলেজে এক সাংবাদিক বৈঠকে আটটি কলেজের অধ্যক্ষ একযোগে সুবীরশের ইস্তফা (Resignation) দাবি করেন। তাঁদের অভিযোগ, জেলে থাকা সত্ত্বেও তিনি এখনও অধ্যক্ষ পরিষদের সভাপতির পদ আঁকড়ে বসে আছেন। জেল থেকেই তিনি পরিষদ চালাচ্ছেন। অধ্যক্ষদের আরও অভিযোগ, সংগঠনের এখনকার নেতৃত্ব সুবিধাভোগী। সরকারের গঠনমূলক কাজ জনসমক্ষে তুলে ধরার মতো নেতার অভাবে ধুঁকছে পরিষদ। সুবীরেশকে অপসারণের দাবিতে তাঁরা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee) এবং শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর (Education Minister Bratya Basu) দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
স্কুল সার্ভিস কমিশনের প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবীরেশ নিয়োগ কেলঙ্কারির (Recruitment Scandal) অভিযোগে এখন জেলবন্দি। সিবিআই তাঁকে গ্রেফতার করে। যখন সুবীরেশকে গ্রেফতার করা হয়, তখন তিনি উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ছিলেন। বেশ কয়েক বছর ধরে সুবীরেশ নিখিল বঙ্গ অধ্যক্ষ পরিষদের সভাপতি পদেও আসীন। গ্রেফতার হওয়ার বেশ কয়েকদিন পর তাঁকে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের প্রবীণ অধ্যাপক ওমপ্রকাশ মিশ্রকে অস্থায়ী উপাচার্য করা হয়। এখন অবশ্য সন্ধান কমিটির মাধ্যমে উত্তরবঙ্গের জন্য নতুন উপাচার্য নিয়োগের প্রক্রিয়া চলছে।
উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদ থেকে সরানো হলেও সুবীরেশ এখনও অধ্যক্ষ পরিষদের সভাপতি পদে বহাল আছেন। তাঁকে অপসারণের দাবিতেই এদিন সাংবাদিক বৈঠক করেন অধ্যক্ষরা। সেখানে হাজির ছিলেন আচার্য জগদীশচন্দ্র কলেজের অধ্যক্ষ পূর্ণচন্দ্র মাইতি, হাবড়া শ্রীচৈতন্য কলেজের অধ্যক্ষ ইন্দ্রমোহন মণ্ডল, চিত্তরঞ্জন কলেজের শ্যামলেন্দু চট্টোপাধ্যায় প্রমুখ। তাঁরা বলেন, চার বছর ধরে পরিষদে কোনও নির্বাচন হচ্ছে না। সুবীরেশ অন্যায়ভাবে পদ আটকে বসে আছেন। তিনি জেলে বসে পরিষদের কাজ চালাচ্ছেন। নিয়ম অনুযায়ী পরিষদের মেয়াদ দুই বছর। সেখানে ছয় বছর ধরে তিনি সভাপতির পদে রয়েছেন। তাঁরা জানান, জানুয়ারি মাসে কোচবিহারে পরিষদের রাজ্য সম্মেলন। সদস্যদের যে চিঠি দেওয়া হয়েছে, সেখানে সভাপতি বা সম্পাদক, কারও নাম নেই।