রিয়াধ: ইউরোপ (Europe) ছেড়ে এশিয়ার (Asia) সৌদি লিগে (Saudi League) খেলছেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো (Cristiano Ronaldo)। সেখানেও কি তাঁকে লিওনেল মেসির (Lionel Messi) ভূত তাড়া করছে? মঙ্গলবার রাতে তাঁর উদ্ভট এবং জঘন্য ফাউলের পর সেই প্রশ্নই উঠে আসছে। চির প্রতিদ্বন্দ্বী আল হিলালের (Al Hilal) বিরুদ্ধে খেলা ছিল রোনাল্ডোর আল নাসেরের (Al Nassr)। প্রথমার্ধে পেনাল্টি থেকে গোল করে মেসির মতো সেলিব্রেশন করেন হিলাল স্ট্রাইকার ওডিয়ন ইঘালো (Odion Ighalo)। তা নিশ্চয়ই রোনাল্ডোর দৃষ্টি এড়ায়নি।
৫৭ মিনিটের মাথায় প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়কে দুই হাত দিয়ে গলা পেঁচিয়ে ধরে মাটিতে ফেলে দেন সি আর সেভেন (CR7)। ওই ফাউল দেখলে মনে হতেই পারে, ফুটবল নয়, কুস্তি খেলা চলছে। এই জঘন্য ফাউলের পরেও অবশ্য স্রেফ হলুদ কার্ড দেখেছেন পর্তুগিজ মহাতারকা। মেসির সেলিব্রেশন দেখেই কি মেজাজ হারালেন তিনি? এর কিছুক্ষণ পরেই ফের পেনাল্টি থেকে গোল করেন ইঘালো এবং আবার সেই মেসির মতো সেলিব্রেশন। অনেকটা যেন কাটা ঘায়ে নুনের ছিটে।
আরও পড়ুন: Champions League | চেলসির বিদায়, শেষ চারে রিয়াল, নাপোলিকে হারিয়ে সেমিতে মিলান
ইউরোপ ছেড়ে এশিয়াতে এসেও শান্তি নেই রোনাল্ডোর। তাঁর উপর মনস্তাত্ত্বিক সৃষ্টি করতে চাপ খেলা চলাকালীন প্রতিপক্ষের সমর্থকরা ‘মেসি মেসি’ চিৎকারে আকাশ ফাটিয়ে দেয়। মঙ্গলবার অবশ্য হয়নি। তবে দিনটা মোটেই রোনাল্ডোর ছিল না, ছিল না আল নাসেরেরও। হিলালকে দেওয়া হল দুটো পেনাল্টি। এদিকে নাসেরকে একটি পেনাল্টি দিলেও ভিডিয়ো অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারির সাহায্য নিয়ে বাতিল করা হয়।
الحكم يتخذ قراره في لقطة رونالدو وكويلار ?#الهلال_النصر | #SSC pic.twitter.com/46umCzdfxT
— شركة الرياضة السعودية SSC (@ssc_sports) April 18, 2023
এদিকে পেনাল্টি থেকে জোড়া গোল করেন প্রাক্তন ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড (Manchester United) ফুটবলার ইঘালো। যে ক্লাবের সঙ্গে চূড়ান্ত তিক্ততায় রোনাল্ডোর সম্পর্ক শেষ হয়েছে। তার জন্য অবশ্য তিনিই দায়ী। বিশ্বকাপ শুরুর মুখে এক সাক্ষাৎকারে তিনি ম্যান ইউ ক্লাব এবং কোচ নিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ করেন। বলে দেন, কোচ তাঁকে সম্মান করেন না তাই তিনিও কোচকে সম্মান করেন না। এমনকী এও বলেন, ক্লাবের পরিকাঠামো মান্ধাতার আমলের।
এরপরে পারস্পরিক বোঝাপড়ায় রোনাল্ডোর চুক্তি বাতিল করে ম্যান ইউ কর্তৃপক্ষ। বলা ভালো তাঁকে ছাঁটাই করা হয়। কাতার বিশ্বকাপ (Qatar World Cup) চলাকালীন ইউরোপের বহু ক্লাবের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন পর্তুগিজ মহাতারকার এজেন্ট। কিন্তু ৩৭ বছর বয়সি স্ট্রাইকারকে নিতে চায়নি কোনও বড় ক্লাব। আর যাদের ইচ্ছে ছিল নেওয়ার তাদের আর্থিক সামর্থ্য ছিল না। শেষমেশ কোটি কোটি টাকার চুক্তিতে সৌদি আরবের ক্লাব আল নাসেরে যোগ দেন তিনি।