কলকাতা: নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) মামলায় নয়া মোড়। এবার সরাসরি প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে চিঠি পাঠাল সিবিআই (CBI)। ২০১৪-এর টেটের ভিত্তিতে ২০১৬-২০১৭, ২০১৮ সালে রাজ্যজুড়ে যে প্রাথমিক শিক্ষক শিক্ষিকাদের (Teacher) নিয়োগ করা হয়েছিল, এবার প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের কাছ থেকে তাঁদের তালিকা চেয়ে পাঠাল সিবিআই। ওই শিক্ষকদের সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য জোগাড় করে সিবিআইয়ের কলকাতার নিজাম প্যালেসের অফিসের ১৪ তলায় জমা দিতে বলা হয়েছে। সিবিআইয়ের পাঠানো চিঠিতে জেলাভিত্তিক তালিকাও চেয়ে পাঠানো হয়েছে।
মঙ্গলবার সিবিআইয়ের (CBI) তরফ থেকে পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে একটি নোটিস পাঠানো হয়েছে। নোটিসটি পাঠিয়েছেন সিবিআইয়ের দুর্নীতিদমন শাখার ডেপুটি সুপারিনটেন্ডেন্ট অফ পুলিশ সঞ্জয় কুমার সামল। নোটিসে বলা হয়েছে, ২০১৪ সালের টেট পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে যাঁরা চাকরি পেয়েছেন, তাঁদের সিরিয়াল নম্বর-সহ নাম, জন্মের শংসাপত্র, পিতার নাম, বর্তমান ঠিকানা, কোন স্কুলে তাঁরা কাজ করছেন এবং তাঁদের মোবাইল নম্বর দ্রুততার সঙ্গে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাকে জানাতে হবে।
আরও পড়ুন:Malda Incident | ক্লাসরুমে বন্দুক উঁচিয়ে শাসানি, মালদহের তাণ্ডব বন্দুকবাজের
সিবিআইয়ের চিঠি পেয়ে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ বিভিন্ন জেলার প্রাথমিক স্কুল শিক্ষা কাউন্সিলের চেয়ারম্যানদের সার্কুলার দিয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, অবিলম্বে ২০১৪-র টেটের ভিত্তিতে ২০১৮ সাল পর্যন্ত যে সমস্ত চাকরি হয়েছে তাঁদের পুর্ণাঙ্গ তালিকা পাঠাতে হবে। সিবিআইয়ের এই চিঠি দেওয়াকে স্বাগত জানিয়েছে সরকার বিরোধী বিভিন্ন শিক্ষক সংগঠন। তাদের বক্তব্য, এর থেকেই বোঝা যাচ্ছে টেটের নিয়োগের ক্ষেত্রে কীরকম দুর্নীতি হয়েছে। বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির নেতা স্বপন মণ্ডল বলেন,এখনও পর্যন্ত সিবিআইয়ের যেটুকু তদন্ত হয়েছে তাতেই স্পষ্ট যে নিয়োগের ক্ষেত্রে পাহাড় প্রমাণ দুর্নীতি হয়েছে। সরকার যতই দায় এড়ানোর চেষ্টা করুক না কেন তদন্ত সঠিক পথে চললে সব পর্দা ফাঁস হয়ে যাবে। তৃণমূল প্রভাবিত প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি অশোক রুদ্র বলেন, আমরা চাই সিবিআই নিরপেক্ষ তদন্ত করুক। তারা যেন বিজেপির কথায় ওঠাবসা না করে।