নামখান: নতুন সাজে সেজে উঠেছে কপিলমুনি মন্দির এবং মেলা প্রাঙ্গণ। আর কয়েকটা দিন আরপরই পুণ্যার্থীদের ঢল নামবে গঙ্গাসাগরে। সাজিয়ে তোলা হয়েছে কপিলমুনি মন্দির এবং মেলা প্রাঙ্গণ, কচুবেড়িয়া এবং লট নাম্বার ৮ জেটিঘাট। বিগত বছরগুলোর মতন ২০২৪ গঙ্গাসাগর মেলাকেও সুরক্ষিত গঙ্গাসাগর মেলা হিসেবে গড়ে তুলতে বদ্ধপরিকর রাজ্য সরকার। মেলার অন্তিম প্রস্তুতি একেবারেই তুঙ্গে। মেলা প্রাঙ্গণে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা এড়াতে এবারের গঙ্গাসাগর মেলাতে (Gangasagar Mela) বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে দমকল বিভাগ।
এবছর মেলায় এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ২৪ ঘন্টা দুটি অ্যাম্বুল্যান্স, চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মীরা প্রস্তুত থাকবেন মেলার দিনগুলিতে। ওদিকে, সাগরতটে তৈরি হচ্ছে অস্থায়ী ছাউনি। তৈরি হচ্ছে স্থায়ী শৌচালয়, এগুলি সারা বছরই চালু থাকবে পুণ্যার্থীদের জন্য। মেলার প্রাঙ্গণ, লট নাম্বার ৮, নামখানা পয়েন্ট, কচুবেড়িয়া পয়েন্ট এবং কুলপির বাফার জোন মিলে সর্বমোট ১১টি অস্থায়ী দমকলকেন্দ্র তৈরি করা হচ্ছে। পাশাপাশি গঙ্গাসাগর মেলা প্রাঙ্গণ-সহ মেলার প্রতিটি পয়েন্ট জুড়ে থাকছে ৫০টি দমকলের ইঞ্জিন। মেলার প্রতিটি পয়েন্ট মিলে সর্বমোট ৭০ টি বুলেট থাকছে। এছাড়াও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটলে দ্রুত এলাকায় পৌঁছে যাবে দমকল কর্মীরা।
আরও পড়ুন: সরকারি জমি দখল মুক্ত করতে গিয়ে আক্রান্ত পঞ্চায়েত প্রধান
গঙ্গাসাগর মেলা প্রাঙ্গণ সহ মেলার প্রতিটি পয়েন্ট মিলে থাকবে প্রায় ৩০০ জন দমকল কর্মী। প্রতিটি বুলেটে অগ্নিনির্বাপকের সব ব্যবস্থা থাকবে। মঙ্গলবার সাগরমেলার পরিকাঠামো ঘুরে দেখেন দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু, দমকলের সহকারি সচিব মনোজ আগরওয়াল, দমকল ডিজি রনভীর কুমার। কচুবেড়িয়ার সবকটি জেটি ও জলাধার ঘুরে দেখেন মন্ত্রী। মেলা প্রাঙ্গণ থেকে শুরু করে প্রতিটি পয়েন্টে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা এড়াতে এবারেও বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে দমকল বিভাগের তরফে। প্রশাসনের বক্তব্য, গত বছরের তুলনায় এবার যাত্রী নিবাসের সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে। মেলা এলাকায় বেশ কিছু নতুন কংক্রিটের রাস্তা তৈরি হয়েছে। এর ফলে পুণ্যার্থীদের সুবিধা হবে।
পরিবেশবান্ধব মেলা করার লক্ষ্যে আবারও প্লাস্টিক বর্জনের উপরে জোর দিচ্ছে গঙ্গাসাগর-বকখালি উন্নয়ন পর্ষদ। মেলা প্রাঙ্গণ থেকে প্লাস্টিক সংগ্রহ করা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। মেলা চলাকালীন সব রকম প্লাস্টিকের ব্যাগ পুরোপুরি বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে নবান্নের তরফে। মেলাকে পরিচ্ছন্ন রাখতে প্রচার এবং জনসচেতনতা বৃদ্ধির উপরে জোর দেওয়া হচ্ছে প্রশাসনের তরফে। মেলা চত্বর পরিষ্কার করার জন্য তিন হাজার সাগর-প্রহরী থাকবেন। এ ছাড়া, পুণ্যার্থীদের বিনামূল্যে শালপাতার থালা-বাটি বিতরণ করা হবে। মেলার সমস্ত দোকানেও তা দেওয়া হবে।
আরও অন্য খবর দেখুন