কলকাতা: রাজ্যের প্রত্যন্ত গ্রাম ও দুর্গম পাহাড়ি অঞ্চলে স্বাস্থ্য পরিষেবা পৌঁছে দিতে নতুন উদ্যোগ নিল রাজ্য সরকার। মঙ্গলবার স্বাস্থ্যভবন থেকে ১১০টি মোবাইল মেডিক্যাল ইউনিট (MMU)-এর উদ্বোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।
মুখ্যমন্ত্রী জানান, রাজ্যসভার সাংসদদের উন্নয়ন তহবিল বাবদ পাওয়া ৮৪ কোটি টাকা ব্যয়ে মোট ২১০টি মোবাইল মেডিক্যাল ইউনিট তৈরি রাখা হয়েছে, যার মধ্যে এ দিন উদ্বোধন করা হয়েছে ১১০টি। এই ইউনিটগুলি রাজ্যের প্রত্যন্ত এলাকায় ঘুরে ঘুরে স্বাস্থ্য পরিষেবা দেবে।
আরও পড়ুন: বঙ্গে শুরু শীতের ইনিংস, কোন জেলায় কত তাপমাত্রা
কী কী সুবিধা মিলবে এই মোবাইল মেডিক্যাল ইউনিটে?
এই মোবাইল ইউনিটে থাকবে চিকিৎসক, নার্স ও টেকনিশিয়ান, আধুনিক চিকিৎসা সরঞ্জাম, প্রাথমিক চিকিৎসার উপকরণ ও প্রয়োজনীয় ওষুধ, প্রয়োজনে রোগীকে হাসপাতালে রেফার করার ব্যবস্থা।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “যেখানে যেখানে এই ইউনিট যাবে, আগে থেকেই সেখানকার মানুষকে জানানো হবে। এতে বিশেষভাবে উপকৃত হবেন অন্তঃসত্ত্বা মহিলা ও শিশুরা। পাশাপাশি আরও নানা রোগের চিকিৎসাও হবে।” কোন কোন পরীক্ষা করা যাবে বিনামূল্যে? এই ভ্রাম্যমাণ মেডিক্যাল ইউনিটে একেবারে বিনামূল্যে ৩৫ ধরনের রোগ নির্ণয় পরীক্ষা করা যাবে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য, হিমোগ্লোবিন পরীক্ষা, গর্ভধারণ (প্রেগন্যান্সি) পরীক্ষা, ম্যালেরিয়া পরীক্ষা, ইসিজি, রক্তে সুগার মাত্রা নির্ণয় ইত্যাদি।
এই প্রকল্প পরিচালনায় বছরে সরকারের প্রায় ৩০ কোটি টাকা খরচ হবে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি দাবি করেন, “গত ১৪ বছরে রাজ্যে স্বাস্থ্যক্ষেত্রে বিপ্লব ঘটেছে। এখন প্রত্যন্ত এলাকাতেও স্বাস্থ্য পরিষেবা পৌঁছে যাচ্ছে।”
নতুন স্বাস্থ্য প্রকল্প উদ্বোধনের পরে ফের SIR ইস্যুতে সরব হন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, “আগে অনেকের জন্ম হতো বাড়িতে, বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে। ফলে প্রাতিষ্ঠানিক কোনও রেকর্ড না থাকায় শিক্ষাগত সার্টিফিকেটের তারিখকেই জন্মতারিখ হিসেবে ধরা হতো। এখন ৯৯.৪ শতাংশ ক্ষেত্রেই শিশুদের জন্ম হচ্ছে প্রতিষ্ঠানে।” রাজ্য সরকারের দাবি, এই নতুন মোবাইল মেডিক্যাল ইউনিট প্রকল্প চালুর ফলে পাহাড় থেকে সমতল। সর্বত্রই আরও সহজলভ্য হবে স্বাস্থ্য পরিষেবা।’
দেখুন আরও খবর:







