কলকাতা Deprecated: Automatic conversion of false to array is deprecated in /var/www/ktv/wp-content/plugins/td-composer/legacy/common/wp_booster/td_module.php on line 380
কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক : বৃহস্পতিবার পানাজি পৌঁছেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ আর শুক্রবার থেকেই মিশন গোয়ায় নেমে পড়ছেন তিনি। শুক্রবার দিনভর ঠাসা কর্মসূচি ছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। সেরকমই শনিবারও রয়েছে একাধিক কর্মসূচি। এদিন সকালে সাংবাদিকদের সঙ্গে ব্রেকফাস্ট করেন তিনি। তার পরেই বেরিয়ে পড়েন ব্যাসিলিকা অফ বম জেসাস চার্চের উদ্দেশে। ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটগুলির মধ্যে একটি হল গোয়ার এই ব্যাসিলিকা অফ বম জেসাস চার্চ।
গোয়া ভারতের একটি খুব বিখ্যাত পর্যটন স্থান। যেটি সমুদ্র সৈকত, জলপ্রপাত এবং স্থাপত্যের জন্য বিখ্যাত। তবে, এসব ছাড়াও গোয়ার অন্যতম আকর্ষণ হল গির্জা। যে গির্জাগুলি ১৬ শতকে পর্তুগিজদের তৈরি করা। এই গির্জাগুলির মধ্যে অন্যতম ব্যাসিলিকা অফ বম জেসাস চার্চ।
কেন বিখ্যাত এই চার্চ? এত চার্চ থাকতেও কেন ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ তকমা দেওয়া হল এই চার্চকে ?
গোয়ার এই ব্যাসিলিকা অফ বম জেসাস চার্চ ব্যারাক স্থাপত্যের জন্য বিখ্যাত। এই ব্যারাক স্থাপত্য হল বিশেষ এক ধরণের স্থাপত্য যা ইতালিতে ১৬ শতকের শেষের দিকে উদ্ভব হয়েছিল।
ব্যারাক স্থাপত্যের এই গির্জা ১৫৯৪ তৈরি করা শুরু হয়। যেটির কাজ শেষ হয় ১৬০৫ সালে। এটিই ভারতের প্রথম ব্যাসিলিকা। ৪০৮ বছরের পুরানো এই গির্জাটি পর্তুগিজ ঔপনিবেশিক স্থাপত্যের অন্যতম সেরা উদাহরণ হিসাবে ধরা হয়। এছাড়াও পর্তুগিজদের তৈরি করা বিশ্বের সাতটি আশ্চর্যের মধ্যে একটি হল এই চার্চ।
ব্যাসিলিকা অফ বম জেসাস চার্চ
তবে, শুধু স্থাপত্য নয়। এই গির্জায় বিখ্যাত সেন্ট ফ্রান্সিস জেভিয়ারের পবিত্র ধ্বংসাবশেষের কারণে। শ্রদ্ধেয় সাধু ফ্রান্সিস জেভিয়ারের এই সমাধি দীর্ঘ ৪৫০ বছর ধরে সংরক্ষিত রয়েছে গির্জাতে।
এই ফ্রান্সিস জেভিয়ার নামক সাধু চিন সফরকালে মারা যান। সেন্ট জেভিয়ার তাঁর শেষ দিনে বলেছিলেন তাঁকে যেন গোয়াতেই সমাহিত করা হয়। এরপর সেন্ট জেভিয়ারের শিষ্যরা তাঁর ইচ্ছা অনুযায়ী গোয়াতেই তাঁর মৃতদেহ সমাহিত করেন।
বহু বছর পর পর কিছু সাধুদের একটি প্রতিনিধি দল রোম থেকে ফিরে আসেন গোয়াতে। তারপর ফ্রান্সিস জেভিয়ারের মৃতদেহ সমাধি থেকে বের করা হয়।
প্রতি ১০ বছর পর এটি জনসাধারণের দেখার জন্য বের করা হয়। কাঁচের কফিনে রাখা থাকে এই পবিত্র দেহ। সর্বশেষ ২০১৪ সালে এটি সর্বসাধারণের দেখার জন্য বাইরে আনা হয়েছিল। কথিত রয়েছে, যে ফ্রান্সিস জেভিয়ারের মৃতদেহে ঐশ্বরিক শক্তি রয়েছে যে কারণে এটি আজও নষ্ট হয়নি। এমনকী এই মৃতদেহ থেকে এখনও রক্ত বের হয় বলেই তাঁদের বিশ্বাস।