কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক : ২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে ভালো ফল করার পর থেকেই রাজ্যের বাইরে নিজেদের ভীত শক্ত করতে মরিয়া তৃণমূল। ত্রিপুরা, গোয়ার পর এবার মেঘালয়েও সংগঠন বিস্তারে গুরুত্ব দিচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই শিলংয়ে পৌঁছেছে কুশলী প্রশান্ত কিশোরের আইপ্যাকের সদস্যরা।
২০২৩ সালে মেঘালয়ায় নির্বাচন রয়েছে। জানা গিয়েছে, তার আগেই ওই রাজ্যের বিভিন্ন শহরে পৌঁছে গিয়েছে কুশলী প্রশান্ত কিশোরের আইপ্যাকের সদস্যরা। যারা ওই রাজ্যের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে গবেষণা শুরু করে দিয়েছে। তাঁরা কথা বলছেন স্থানীয়দের সঙ্গে। এমনকী বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গেও যোগাযোগ রাখছেন। ফলে ক্রমশই জোরাল হচ্ছে মেঘালয়ের ২৩ এর নির্বাচনে তৃনমূলের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার বিষয়টি। যদিও এই বিষয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে কিছু জানা যায়নি।
২০২১ বিধানসভা নির্বাচনে জয়ের পর ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচন পর্যন্ত প্রশান্ত কিশোরের সঙ্গে পুনরায় চুক্তি করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। তার পর থেকেই দেশের রাজনীতিতে ভীত শক্ত করছে তৃণমূল কংগ্রেস। অসম কংগ্রেসে ভাঙন ধরিয়েছিল তৃণমূল। হাত ছেড়ে জোড়াফুল শিবিরে যোগ দিয়েছিলেন শিলচরের প্রাক্তন সাংসদ সুস্মিতা দেব। বেশ কিছুদিন আগে গোয়া কংগ্রেসেও ভাঙন ধরিয়েছে তৃণমূল। এমনকী উত্তর-পূর্বের রাজ্য মেঘালয়ে কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার সম্ভবনা দেখা গিয়েছিল মুকুল সাংমার।
আরও পড়ুন – বাবুলকে ঝুমঝুমি ছাড়া কিছুই দেবে না তৃণমূল, কটাক্ষ দিলীপের
মেঘালয়ের বিরোধী দলনেতা মুকুল কংগ্রেস পরিষদীয় দলের নেতা। তাঁর সঙ্গে অন্তত ১৩ জন কংগ্রেস বিধায়ক দলত্যাগ করতে পারেন বলে শোনা গিয়েছিল। সূত্রের খবর, তৃণমূলে যোগ দেওয়ার বিষয়ে আইপ্যাকের প্রধান প্রশান্ত কিশোরের সঙ্গে সাংমার আলোচনা হয়েছে। শুধু পিকেই নয়, অক্টোবরে কলকাতায় এসে সাংমা বৈঠকও করে গিয়েছেন সঙ্গে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে। তবে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেননি সাংমা। এসবের সঙ্গে সঙ্গে ২৩ মেঘালয়ে নির্বাচনে ঘাসফুলের লড়াইয়ের পথ প্রশস্ত করতে ইতিমধ্যেই তৃণমূলস্তরের কাজ শুরু করে দিয়েছে ভোট কুশলী পিকের দল।