নয়াদিল্লি: ঘোষণা মতো সোমবার ১০ জানুয়ারি থেকে বুস্টার ডোজ (Booster Dose) দেওয়া শুরু হতে চলেছে৷ গত মাসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) জানিয়েছিলেন, স্বাস্থ্যকর্মী এবং প্রথম সারির যোদ্ধাদের বুস্টার ডোজ দেওয়া হবে৷ যোগ্য ব্যক্তিদের মধ্যে আছেন ষাটোর্ধ্বরাও, যাঁদের কো-মর্বিডিটির সমস্যা রয়েছে৷ তবে তাঁদের ক্ষেত্রে বুস্টার ডোজ নেওয়ার আগে চিকিৎসকদের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন৷
স্বাস্থ্যমন্ত্রক আগেই জানিয়ে দিয়েছে, বুস্টার ডোজ নিতে গেলে কোথাও রেজিস্ট্রেশনের দরকার নেই৷ তবে কো-উইন অ্যাপে গিয়ে অ্যাপয়নমেন্ট করে নিতে পারেন৷ নইলে সরাসরি টিকাকেন্দ্রে গিয়েই ভ্যাকসিন নেওয়া যাবে৷ টিকার দু’টি ডোজের ৯ মাস সম্পূর্ণ হলেই মিলবে বুস্টার ডোজ৷ কোভিশিল্ড এবং কোভ্যাক্সিন টিকার তৃতীয় ডোজই হল বুস্টার ডোজ৷ যাঁদের কোভিশিল্ড নেওয়া আছে তাঁদের সেরামের টিকার তৃতীয় ডোজই দেওয়া হবে৷ যাঁদের কোভ্যাক্সিন নেওয়া আছে তাঁরা ভারত বায়োটেকের টিকাই পাবেন৷ কেন্দ্র সাফ জানিয়ে দিয়েছে, বুস্টার ডোজের ক্ষেত্রে টিকার কোনও মিক্স অ্যান্ড ম্যাচ করা চলবে না৷
করোনার তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়েছে৷ এই পরিস্থিতিতে শুরু হচ্ছে বুস্টার ডোজ দেওয়া৷ কিন্তু যে হারে সংক্রমণ বাড়ছে তাতে কারও কারও মনে টিকার কার্যকারিতা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে৷ তৃতীয় ঢেউয়ে দেখা যাচ্ছে, টিকা নেওয়া বহু ব্যক্তি করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন৷ যদিও অধিকাংশের শরীরে মৃদু উপসর্গ দেখা গিয়েছে৷ হাসপাতালগুলিতে রোগী ভর্তির চাপ কম৷ তৃতীয় ডোজ নিলে সংক্রামিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে না? এ ব্যাপারে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চের ডিরেক্টর জেনারেল বলরাম ভার্গব জানিয়েছেন, ভারত, ইজরায়েল, ব্রিটেন, ইউরোপ, চীন- যেখানকার ভ্যাকসিনই হোক না কেন কেউ সংক্রমণ আটকাতে পারবে না৷ কিন্তু উপসর্গের তীব্রতা অনেক কমিয়ে দিতে পারে৷ যে কারণে হাসপাতালে রোগী ভর্তি এবং মৃত্যুহার কম৷
আরও পড়ুন: PM Modi: চোখ রাঙাচ্ছে তৃতীয় ঢেউ, ১৫-১৮ বছর বয়সিদের ভ্যাকসিনেশনের গতি বাড়ানোর নির্দেশ মোদির