নয়াদিল্লি: সংসদে রঙিন ধোঁয়া (Parliament Security Breach) ছড়ানোর ঘটনার মূল চক্রী এবং পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে পালিয়ে বেড়ানো শিক্ষক ললিত ঝায়ের (Lalit Jha) সঙ্গে বঙ্গ-যোগ মিলেছে। বিহারের বাসিন্দা ঝাকে সর্বশেষ দেখা গিয়েছিল রাজস্থানের নিমরানার গন্ডালা গ্রামে। পুলিশ পৌঁছানোর আগেই তিনি সেখান থেকে পালিয়ে যান। ললিত ঝা সমাজকর্মী হিসেবে পরিচিত এবং বেশ কয়েকটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার (NGO) সঙ্গে জড়িত। কলকাতার বেশ কিছু সামাজিক অনুষ্ঠানে তাঁকে দেখা গিয়েছে। বাংলার পুরুলিয়া (Purulia) এবং ঝাড়গ্রাম (Jhargram) জেলায় তাঁর বিশাল কর্মকাণ্ড রয়েছে।
হালিশহরের জেটিয়ার বাসিন্দা নীলাক্ষ আইচের (Neelaksh Aich) সঙ্গে ললিত ঝায়ের ঘনিষ্ঠতার প্রমাণ মিলেছে। নীলাক্ষ বিধাননগর কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। তাঁর মোবাইলেই সংসদে রং-ধোঁয়া ছড়ানোর ঘটনার মূল অভিযুক্ত ললিত ঝা হোয়াটসঅ্যাপে ভিডিওটা পাঠান। সাম্যবাদী সুভাষ সভা (Samyabadi Subhash Sabha) নামে একটি বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা চালান নীলাক্ষ। সেই সূত্রেই ললিতের সঙ্গে আলাপ। দিল্লি পুলিশ (Delhi Police) থেকে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছে। বারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের পুলিশ অফিসাররা এসে এখন কথা বলছেন। ওদের সংস্থা আদিবাসী ছেলেমেয়েদের পড়াশোনা করায় বলে জানিয়েছেন বাবা নিলয় আইচ।
আরও পড়ুন: এত পড়ে কী হল, মরতে ইচ্ছে হয়, মাকে বলতেন নীলম
সূত্রে জানা গিয়েছে, সংসদের ঘটনার পর ললিত প্রথম ফোনটি করেন নীলাক্ষকে। দুপুর ১টা নাগাদ তাঁকেই ভিডিওটা পাঠান। নীলাক্ষ তাঁর কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি আর ফোন করতে বারণ করেন। নীলাক্ষ জানান, কলকাতার সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউতে এক অনুষ্ঠানে এ বছরই ললিতের সঙ্গে পরিচয়। আমাদের সংস্থার বেশিরভাগই কলেজ ছাত্র। তাই আমরা সবসময় ঝাড়গ্রাম ও পুরুলিয়ার প্রত্যন্ত গ্রামে যেতে পারি না। তাই আমরা তাঁকে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সাধারণ সম্পাদক করি। উনি যে কোনও সময় অজ পাড়াগাঁয়ে যেতে পারতেন।
নীলাক্ষ আরও জানান, সংসদে প্রতিবাদে বিষয়ে ললিত তাঁকে কিছু বলেননি। তবে তাঁদের সংস্থার রেজিস্ট্রেশনের জন্য একবার বসার কথা ছিল। তখনই ললিত ঝা তাঁকে বলেছিলেন, যা কথাই থাক, তা ১২ ডিসেম্বরের আগে সেরে ফেলতে হবে। নীলাক্ষর কাছ থেকেই জানা গিয়েছে, ললিত কখনোই তাঁদের বিষয়ে কিছু জানাননি। তাই তাঁকে সদস্যপদের কার্ড দেওয়া হয়নি। ললিতের দুটি হোয়াটস অ্যাপ নম্বর ছিল। কখনও একটা, কখনও অন্যটা ব্যবহার করতেন। একসঙ্গে দুটো ব্যবহার করতেন না। ললিত নীলাক্ষকে জানিয়েছিলেন, তিনি কলকাতায় থাকেন। কিন্তু কথা বলতেন হিন্দিতে, বাংলা বলতে পারতেন না।
অন্য খবর দেখুন