আলিপুরদুয়ার: প্রেমের পথে কাঁটা সরাতে প্রেমিকাকে সঙ্গে নিয়ে আট মাসের গর্ভবতী স্ত্রীর গলার নলি কেটে খুনের অভিযোগ উঠল স্বামীর বিরুদ্ধে। খুনের পর পুলিসের চোখে ধুলো দিতে হামলার গল্প ফাঁদে স্বামী ও তার প্রেমিকা। কিন্তু টানা জেরার মুখে ঘটনার কথা স্বীকার করে নেয়। তাদের গ্রেফতার করে মঙ্গলবার আলিপুরদুয়ার আদালতে তোলা হলে ৭ দিনের পুলিস হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত মহিলার নাম মজিদা বেগম, বাড়ি কোচবিহার ঘোকসাডাঙা থানা এলাকায়। খুনের পর তদন্তে নেমে ৫ দিনের মধ্যে অভিযুক্ত স্বামী একরামুল হক ও তার প্রেমিকা রাহেলা সুলতানাকে গ্রেফতার করে পুলিস।
জানা যায়, ঘটনার দিন অভিযুক্ত একরামুল হক তার স্ত্রী মজিদা বেগমকে জয়গাঁওয়ে তার দিদির বাড়ি ঘুরতে যাওয়ার নাম করে নিয়ে যায়। সেখান থেকে ফেরার সময় একরামুলের প্রেমিকা রাহেলা দলসিংপাড়া থেকে তাদের গাড়িতে ওঠে। এরপর সুযোগ বুঝে গাড়িটি হাসিমারা সংলগ্ন এশিয়ান হাইওয়ের নির্জন এলাকায় নিয়ে আসে। সেখানে পিছন থেকে মজিদার গলায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলার নলি কেটে খুন করে। খুনের ঘটনা ধামাচাপা দিতে দুষ্কৃতী হামলার নাটক করে পুলিসের চোখে ধুলো দেওয়ার চেষ্টা করে দুই অভিযুক্ত। তবে শেষরক্ষা হল না তাদের। একরামুল ও তার বান্ধবীকে সোমবার রাতে গ্রেফতার করেছে জয়গাঁ থানার অন্তর্গত হাসিমারা ফাঁড়ির পুলিস। বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের জেরেই খুন বলে অনুমান পুলিসের।
আরও পড়ুন : Malda: সদ্যোজাতর দেহ খুবলে খেল কুকুর, উত্তেজনা মালদহে
এই ঘটনার বেশ কয়েকদিন আগে ওই এলাকায় এক ট্রাফিক পুলিসের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়। ওই ট্রাফিক পুলিস অফিসার নিখোঁজের ৫ দিনের মাথায় তাঁর ক্ষতবিক্ষত মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিস। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই ওই এলাকায় গর্ভবতী মহিলাকে খুনের ঘটনায় নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। মঙ্গলবার অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে খুন সহ বেশ কয়েকটি ধারায় মামলা রুজু করে আদালতে হাজির করা হয়। ঘটনার তদন্তের স্বার্থে আদালতে ধৃতদের সাত দিনের পুলিস হেফাজতের আবেদন জানিয়েছে হাসিমারা ফাঁড়ির পুলিস। আদালত সেই আবেদন মঞ্জুর করেছে।