ঝালদা: ঝালদার কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দুর খুনের ঘটনায় (Jhalda Murder Case) ধৃত নরেন কান্দু ও আশিফ খানকে রবিবার জেলা আদালতে তোলা হবে। ধৃতদের মেডিক্যাল পরীক্ষা করা হয়েছে। তাদের নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানাবে পুলিস। শনিবার সন্ধ্যায় তপন কান্দুর দাদা নরেন কান্দু ও কুটিডি গ্রামের বাসিন্দা আশিফ খানকে গ্রেফতার করে পুলিস। সিটের আধিকারিকেরা দাবি করেন, কয়েক লক্ষ টাকার বিনিময়ে সুপারি কিলার দিয়ে খুন করার চক্রান্ত করে দাদা নরেন কান্দু। আশিফ খানের বাড়িতে বসেই খুনের চক্রান্ত করেছিল অভিযুক্তরা।
তপন কান্দুর খুনের ঘটনায় (Tapan Kandu Murder Case) শনিবার পর্যন্ত চার জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। ধৃতরা হল নিহত তপন কান্দুর ভাইপো দীপক কান্দু, দাদা নরেন কান্দু, ঝাড়খন্ডের জরিডি থানা এলাকার বাসিন্দা কলেবর সিং, ও ঝালদা থানার কুটিডি গ্রামের বাসিন্দা পেশায় ধুপ বিক্রেতা আশিফ খান। যদিও চারজনের গ্রেফতারের পরও খুশি নয় তপন কান্দুর স্ত্রী পূর্ণিমা কান্দু। শনিবারও তিনি সিবিআই তদন্তের দাবি করে বলেন, আমাদের মূল অভিযোগ ঝালদা থানার ওসির বিরুদ্ধে। তিনি আজ পর্যন্ত ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়ে গিয়েছেন।
১৩ মার্চ সন্ধেয় গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় ঝালদা পুরসভার ২ নম্বর কংগ্রেস কাউন্সিলর (Congress Councillor murder case) তপন কান্দুর। বিকেলে হাঁটার সময় ঝালদা-বাগমুন্ডি রোডের উপরে গুলিবিদ্ধ হন তিনি। গোকুলনগর গ্রামের কাছে উল্টো দিক থেকে আসা একটি বাইকে আসা ৩ জন দুষ্কৃতী তাঁকে লক্ষ্য গুলি করে। তাঁর পেটে গুলি লাগে। রাস্তায় রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়েন তপন। এরপর দুষ্কৃতীরা ঘটনাস্থল ছেড়ে পালিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: Petrol Diesel Prices Hike: ফের দামবৃদ্ধি জ্বালানির, ১৩ দিনে ১১ বার
তপন খুনের কয়েকদিনের মধ্যে তাঁর ভাইপো দীপক কান্দুকে গ্রেফতার করে পুলিস। দীপকের বিরুদ্ধে খুনের মামলা রজু করা হয়। বৃহস্পতিবার ঝাড়খণ্ডের জরিডি থানা এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয় কলেবর সিং নামে এক সন্দেহভাজনকে। তাকে জেরা করে নরেন কান্দু ও আশিফ খানের নাম জানতে পারে পুলিস। শনিবার ধৃত তৃণমূল নেতা দীপক কান্দুর বাবা নরেন কান্দুকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। টানা জিজ্ঞাসাবাদে পুলিস জানতে পারে, মোটা টাকার বিনিময়ে সুপারি কিলার দিয়ে খুন করা হয়েছিল তপন কান্দুকে। রাজনীতিতে পারিবারিক অশান্তি জড়িয়ে যাওয়ার কারণেই যে খুন হয়েছেন ঝালদার কংগ্রেস কাউন্সিলর (Congress Councillor murder case), সিটের কাছে তা প্রায় স্পষ্ট।