আলিপুর দুয়ার: কাজ হারিয়ে হতাশায় আত্মঘাতী হতে চেয়েছিলেন পেশায় বেসরকারি পরিবহণ কর্মী রোহিত সরকার। তবে কথায় আছে, রাখে হরি, মারে কে?
জীবনের প্রতি চরম হতাশায় ও অনটনের কারণে দুরন্ত গতিতে ধেয়ে আসা ট্রেনের (Train) সামনে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন রোহিত। উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের নিউ ময়নাগুড়ি স্টেশন (Maynaguri Station) ছেড়ে দোমহনি স্টেশনের দিকে যাচ্ছিল নিউ আলিপুরদুয়ার (New Alipur) থেকে শিয়ালদহগামী ডাউন তিস্তা-তোর্সা এক্সপ্রেসে।ওই ট্রেনের ইঞ্জিনে ছিলেন লোকো ইন্সপেক্টর (Loco Inspector) চন্দন সরকার। তাঁর তীক্ষ্ণ নজর গিয়ে পড়ে ওই ব্যক্তির উপর। তিনি দূর থেকেই লক্ষ্য করেন, এক ব্যক্তি রেল লাইনের (Rail Line)উপর মাথা দিয়ে শুয়ে পড়লেন।মুহূর্তেই তিনি বিষয়টি চালক ও সহকারী চালককে জানান। তাঁরা রীতিমতো ঝুঁকি নিয়ে ওই ব্যক্তির মাত্র দেড়শো মিটার দূর থেকে কোনও ক্রমে ব্রেক কষে ট্রেনটিকে দাঁড় করান। এরপর ইঞ্জিন থেকে নেমে ওই ব্যক্তিকে টেনে তোলেন চন্দন।তাঁরা অনেক বুঝিয়ে মানসিক শক্তি যুগিয়ে রোহিতকে আরপিএফ আধিকারিকদের হাতে তুলে দেন।
আরও পড়ুন: Howrah Incident Update: ফোনে বলেছিল, তুই মরে যা, শুনে কী করলেন প্রেমে প্রত্যাখ্যাত যুবক
পুলিশ তদন্তে নেমে জানিয়েছে, রোহিত সরকার পেশায় বেসরকারি পরিবহণ কর্মী। কাজ হারিয়ে হতাশায় আত্মঘাতী হতে চেয়েছিলেন বলে পুলিশের কাছে স্বীকার করেন। ঘটনাটি রবিবার দুপুরের। ওই ঘটনার ভিডিয়ো সোমবার উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের আলিপুরদুয়ার ডিভিশন প্রকাশ করে। রেলের তরফ থেকে ওই দুই চালক ও লোকো ইন্সপেক্টরকে বাহবা জানানো হয়েছে।