বোলপুর: আদালতের নির্দেশ থাকার পরেও অচলাবস্থা কাটছে না বিশ্বভারতীতে। বিশ্বভারতীর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের মূল গেটে তালা মেরে রেখেছে বিশ্বভারতীর নিজস্ব নিরাপত্তা কর্মীরা। সেন্ট্রাল অফিসের সামনে জমায়েত করে রয়েছেন আন্দোলনকারী পড়ুয়ারা। ফলে কার্যালয়ে ঢুকতে পারছেন না বিশ্বভারতীর কর্মী ও আধিকারিকরা। কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এখনও পুলিস মোতায়েন রয়েছ। পাঠভবনে ক্লাস শুরু হলেও অধিকাংশ ভবন এখনও পর্যন্ত তালা বন্ধ অবস্থায় রয়েছে।
আন্দোলনকারী পড়ুয়াদের দাবি, আদালতের নির্দেশ মতো বিশ্বভারতীর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের চত্বরে শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করতে দিচ্ছে না কর্তৃপক্ষ। সব মিলিয়ে শুক্রবারও অচলাবস্থার ছবি ধরা পড়ল শান্তিনিকেতনে।
গত চার দিন পর বৃহস্পতিবার মধ্য রাতে আদালতের নির্দেশে শান্তিনিকেতন ক্যাম্পাসে ঢোকে পুলিস। পুলিসি নিরাপত্তায় ৮৪ ঘণ্টা পর অফিসে আটক থাকা কর্মসচিব, জনসংযোগ আধিকারিক ও যুগ্ম-সচিব মুক্ত হন। পুলিস বিশ্বভারতীর রেজিস্ট্রার সহ অন্যান্য আধিকারিককে কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে ঘেরাওমুক্ত করার সময় আন্দোলনকারী পড়ুয়াদের বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়। শান্তিনিকেতন ক্যাম্পাসে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ কেন পুলিস ঢোকাল, সে নিয়ে অশান্ত হয়ে ওঠে শান্তিনিকেতন।
আরও পড়ুন: Visva-Bharati: বিশ্বভারতীর গণতান্ত্রিক আন্দোলনে হস্তক্ষেপ নয়, জানিয়ে দিল আদালত