রিয়েল লাইফে তাঁর বহুদিনের বলিউড-অভিনেতা প্রেমিকের সঙ্গে বিয়ের গুঞ্জন অনেকবার শোনা গেছে। নেটিজেনরা প্রায় ক্লান্ত। বিয়ের পিঁড়িতে কবে বসছেন তাঁরা! বলিউডের এই হাইপ্রোফাইল জুটির বিয়ে নিয়ে দফায় দফায় শুরু হয় গুঞ্জন। গুঞ্জন যতই জোরালো হোক না কেন ‘মিয়া-বিবি’ কেউই এসব নিয়ে মুখ খোলেননি। বরঞ্চ ‘বিবি’ বলেছেন তাঁর নাকি এখনো বিয়ের বয়স হয়নি। এবার সেই ‘বিবি’কেই সম্প্রতি এক নামী-দামী পোষাক ব্র্যান্ডের বিজ্ঞাপনে কনের সাজে বসে হিন্দু-বিবাহ প্রথা বিরোধী সংলাপ বলতে শোনা গেল।। পোষাক-ব্র্যান্ডের বিজ্ঞাপন হলেও পুরুষতান্ত্রিক সমাজের বিরুদ্ধে বিশেষ বার্তা পৌঁছে দিতে এই বিজ্ঞাপনে রাখা হয়েছিল এই সংলাপ ‘রাজি’ নায়িকার মুখে।।
সমাজের একাংশের কাছে সেটা গ্রহণযোগ্য হলেও নেটিজেনদের অনেকেরই রোষের মুখে পড়েছেন আলিয়া ভাট। এমনকি হিন্দু বিরোধী তকমাও দেওয়া হয়েছে অভিনেত্রীকে। সংলাপ ছিল ‘কন্যাদান নয় কন্যামান’ বলতে শিখুন। হিন্দু বৈবাহিক রীতি অনুসারে সমাজে কন্যা সম্প্রদান যুগ যুগ ধরে হয়ে আসছে।
আরও পড়ুন: বিয়ের বয়স হয়নি, হলিউড যাচ্ছেন আলিয়া?
তা নিয়া বহুবার প্রশ্ন উঠেছে যে নারী কি সত্যি পণ্য সামগ্রী? বহুকাল ধরেই সমাজ অর্থাৎ সোশ্যাল মিডিয়া উত্তাল। পুরুষতান্ত্রিক সমাজের সেই বস্তাপচা প্রচলিত নিয়মকে ছুঁড়ে ফেলে দিতে চেয়েছেন বলিউড অভিনেত্রী এই বিজ্ঞাপনের মধ্যে দিয়ে। সঙ্গে সঙ্গে তেলে বেগুনে জ্বলে উঠেছেন নেটিজেনদের ধর্মভীরু একাংশ। তাই তারা অভিনেত্রীর ধর্ম নিয়েও কটাক্ষ করেছেন। বিজ্ঞাপনের সম্পূর্ণ সংলাপটি ছিল এইরকম, ‘সবাই বলে মেয়েরা নাকি পরের ধন, কিন্তু সে অন্য কারো নয়;আর সে কোন ধন নয়। তাই কন্যাদান না বলে বলতে শিখুন কন্যামান’। যা শুনে আলিয়ার দিকে উড়ে এসেছে ধর্মভীরু নেটিজেনদের কটাক্ষ বান। তাদের দাবি আলিয়া হিন্দুধর্মের অসম্মান করছেন। যদিও আলিয়া তা নিয়ে মুখ খোলেননি।