ইস্তানবুল: বেড়েই চলেছে মৃতের সংখ্যা। ভূমিকম্প বিধ্বস্ত তুরস্ক এবং সিরিয়ায় (Turkey-Syria Earthquake 2023) মৃত্যুর সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১৯ হাজার। জাপানের ফুকুশিমা বিপর্যয়ের ( Japans Fukushima Disaster) কারণে প্রাণহানির ঘটনাকে ছাপিয়ে সাম্প্রতিক ইতিহাসের সবচেয়ে মারাত্মক ভূমিকম্পগুলির (Earthquake) মধ্যে জায়গা করে নিয়েছে তুরস্ক এবং সিরিয়ার ভূমিকম্প। সরকারি হিসাব অনুযায়ী, ভূমিকম্পের কবলে পড়া দুই দেশে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৯ হাজার ৩০০ জন। এই সংখ্যা আরও বাড়বে বলেই আশঙ্কা করছে দু’দেশের প্রশাসন। আহতের সংখ্যা বেড়ে প্রায় ৪০ হাজারের ঘরে।
ভূমিকম্পে ধ্বংসস্তূপ থেকে উদ্ধার হচ্ছে শুধু মৃতদেহ। দেশের হাসপাতালগুলিতে মৃতদেহের পাহাড়। চারিদিকে নিস্তবদ্ধতা, কান্নার আওয়াজ। ঠান্ডার পাশাপাশি খাবারের জন্য আর্তনাদ চলছে। তীব্র ঠান্ডা কারণে উদ্ধারকাজে বাধা হয়ে পড়ছে। বিপর্যয় মোকাবিলার নীতি নিয়ে আন্তর্জাতিক স্তরে সমালোচনার মুখে পড়তে হয় তুরস্ক সরকারকে। সেই সমস্যার কথা স্বীকারও করেন সে দেশের প্রেসিডেন্ট। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে উদ্বেগ প্রকাশ করে জানানো হয়, ধ্বংসস্তূপের নীচে এখনও যাঁরা আটকে, খাবার এবং পানীয় জলের অভাবে আরও বিপদে পড়তে পারেন। তাঁদের যত দ্রুত সম্ভব উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হোক।
আরও পড়ুন:Bihar Incident: প্রেমিকের গুলিতে মৃত্যু বিহারের মহিলা পুলিশকর্মীর, অধরা মূল অভিযুক্ত
সময় যত গড়াচ্ছে ততই ধ্বংসস্তূপের নীচে কারও বেঁচে থাকার সম্ভাবনা ক্ষীণ হচ্ছে বলে মনে করছেন উদ্ধারকারী দলের বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের মতে, খাদ্য, জলহীন ভাবে তিনদিন ধরে অক্সিজেন যদিওবা মেলে, কিন্তু এই হিমশীতল আবহাওয়ায় বেঁচে থাকার সম্ভাবনা প্রায় নেই বললেই চলে।