ওয়েব ডেস্ক: ভারতীয় বাইকপ্রেমীদের কাছে কেটিএম (KTM Bikes) একটি জনপ্রিয় ব্র্যান্ড। ১৯৩৪ সালে অস্ট্রিয়ার (Austria) মাটিতে জন্ম নেয় এই সংস্থা। উন্নতমানের নকশা, টেকসই ইঞ্জিন, এবং রেসিং বাইকের জন্য বিশেষ পরিচিতি অর্জন করেছিল সংস্থাটি। ভারতীয় বাজারেও (Indian Automobile Market) কেটিএমের চাহিদা যথেষ্ট বেশি। তবে সেই কেটিএম আজ দেউলিয়া (Bankrupt) হওয়ার পথে। এই খবর বাইকপ্রেমীদের মধ্যে ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, কেটিএমের বর্তমান সংকটের পেছনে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ রয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম হল অতিরিক্ত উৎপাদন। জানা যায়, করোনা অতিমারির সময়েও কেটিএম তাদের বাইক উৎপাদন অব্যহত রেখেছিল। তবে বাজারে চাহিদা কম থাকায় সংস্থার প্রায় ৩ লক্ষেরও বেশি বাইক এখনও গুদামে পড়ে রয়েছে। করোনা পর্বে কেটিএম বাইক ছাড়াও উন্নতমানের সাইকেল তৈরির দিকে মনোনিবেশ করেছিল। এর জন্য বিপুল ঋণ নেওয়া হলেও সেই সাইকেল আশানুরূপ বিক্রি হয়নি। ফলে বড় ক্ষতির মুখে পড়ে সংস্থাটি।
আরও পড়ুন: জানা গেল যীশু খ্রিস্টের আসল নাম, জন্মদিনও ২৫ ডিসেম্বর নয়
আসলে জনপ্রিয় মডেলগুলিতে ইঞ্জিনের ক্যামশ্যাফ্ট সমস্যার কারণে বাইকের গুণমান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। এর প্রভাব পড়েছিল সংস্থার বিক্রির উপর। পাশাপাশি বিপুল পরিমাণ ঋণ শোধ করার জন্য শেয়ার বিক্রি এবং কর্মী ছাঁটাই করেও সংস্থা উল্লেখযোগ্য আর্থিক সুরাহা পায়নি।
ভারতে কেটিএমের কার্যক্রম পরিচালনা করে অটোমোবাইল জায়ান্ট বাজাজ অটো (Bajaj Auto), যাদের কাছে কেটিএমের ৪৯ শতাংশেরও বেশি শেয়ার রয়েছে। বাজাজের দক্ষ নেতৃত্বে ভারতীয় বাজারে কেটিএম ব্র্যান্ড যথেষ্ট জনপ্রিয়তা পেয়েছে। তবে কেটিএমের মুল কারখানা যদি বন্ধ হয়ে যায়, তা হলে ভারতীয় বাজারেও এর প্রভাব পড়তে পারে। কারণ বাইকগুলোর গবেষণা ও উন্নয়নের কাজ মূলত অস্ট্রিয়াতেই হয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যদি বাজাজ আর্থিকভাবে কেটিএমকে সাহায্য করে, তাহলে ভবিষ্যতে পুরো সংস্থাটিই বজাজের অধীনে চলে যেতে পারে।
দেখুন আরও খবর: