কলকাতা: কাকু হল, জেঠু হল। এবার হয়ত পিসির সময় আসছে। কালীঘাটের কাকুর গ্রেফতারের প্রসঙ্গে মন্তব্য বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh)। বুধবার সকালে নিউটাউন প্রাতঃভ্রমনে এসে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষ তৃণমূলকে একহাত নিয়ে বলেন, কাকু হল, জেঠু হল। এবার পিসি ভাইপোর সময় এগিয়ে আসছে।
নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলায় ‘কালীঘাটের কাকু’ নাম সামনে এসেছে। মঙ্গলবার তথ্য গোপন ও তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগে ১২ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর ইডি রাতে গ্রেফতার করেছে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে (Sujay Krishna Bahdra)। এই গ্রেফতারির পর বিরোধীদের দাবি নিয়োগ দুর্নীতির মূল ষড়যন্ত্রকারীর কাছাকাছি পৌঁছে যাচ্ছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। একথা শোনা গিয়েছে বিজেপির নেতার গলায়। দিলীপ ঘোষ বলেন, কান টানলে মাথা আসে। কান টানাটানি শেষ। এবার হয়ত মাথা আসবে। কালীঘাটের কাকু যে কোম্পানিতে কাজ করতেন সেই কোম্পানির নাম অনেক আগেই সামনে এসেছে। কোম্পানির মাধ্যমে টাকার লেনদেন হত। সেখানে যারা কর্মী, তারাই হ্যান্ডলার। সেই প্রমাণ গুলো একে একে সামনে আসছে। অনেক দিন ধরে খেলিয়ে এবার মাছ তুলছে সিবিআই।
দিলীপ ঘোষ আরও বলেন, পার্থ মন্ত্রী ছিলেন। নিজের মতো একটা চ্যানেল তৈরি করেছিলেন। সেখানে কিছু লোক ছিল। কিন্তু এখন যারা ধরা পড়ছে, তারা হচ্ছে ডাইরেক্ট পার্টির লোক। পার্থর সঙ্গে দলের তেমন সম্পর্ক ছিল না। লেনদেন হলে সেটা আলাদা ব্যাপার। বাকি যারা ধরা পরেছে তারাই আসল কিংপিন। এরা হ্যান্ডলার। এরাই টাকা তুলত, টাকা পৌছে দিত। এতদিন ধরে তথ্য খোঁজা চলছিল। সেই তথ্য সিবিআই ইডির হাতে এসেছে। এবার রাস্তা পুরোপুরি খুলে যাবে।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আমার নামে চমকাছেন। আমার বাড়ি ঘেরাও করিয়েছেন। হয়ত টাকাও দিয়েছেন। যারা আমার বাড়িতে এসেছিল, তারা পুরুলিয়া থেকে বাসে এসেছিল। কুড়মিরা ওনার কথা শোনেনি বলে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। মুখে বলছে বিজেপি করেছে। শাস্তি দেওয়া হচ্ছে কুড়মিদের। এভাবে জঙ্গলমহলের মানুষকে কষ্ট দিচ্ছে। এর ফল ওরা পাবে।