নিউ জলপাইগুড়ি: ট্রেনের ভিতর চলল গুলি। মৃত্যু হয়েছে এক যাত্রীর। সোমবার রাতে নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনের কাছে ঘটনাটি ঘটে। সূত্রে খবর, নর্থ-ইস্ট এক্সপ্রেস ট্রেনটি নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনের (NJP Station) দিকে যাচ্ছিল। স্টেশনে ঢোকার কিছুটা আগে একটি জায়গায় ট্রেনটি (Train) হল্ট করে। সেই সময় ট্রেন থেকে বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি (Gunshot) চলার শব্দ শুনতে পান অন্যান্য বগিতে থাকা যাত্রীরা। রেলের তরফে জানানো হয়েছে, গুলির আঘাতে মৃত্যু হয়েছে সঞ্জয় সিং পারমার নামে এক যাত্রীর। তিনি প্রাক্তন সেনাকর্মী। আচমকা এই ঘটানায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েন যাত্রীরা, অনেকে ট্রেন থেকে লাফ দিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টাও করেন।
এই গুলি চলার ঘটনা ঘিরে ট্রেনের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। বিজেপির সর্বভারতীয় সহসভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) এই ঘটানয় তৃণমূলের দিকে আঙুল তুলেছেন। মঙ্গলবার দিলীপ বলেন, ‘গুলি তো সারা পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে চলছে। হাইওয়ের উপরে চলছে। আর এনজেপি স্টেশনে তো দুর্বৃত্তের আড্ডার জায়গা। ওখানে মাফিয়াদের আড্ডা চলে। শ’ শ’ কোটি টাকার এদিক ওদিক হয়। বহু লোক এই করে খায়। তৃণমূলের রক্ষণাবেক্ষণেই এনজেপি স্টেশনে এই ধরনের কাজ করে। তার ফল মাঝে মাঝে সাধারণ মানুষকে ভুগতে হয়।’
আরও পড়ুন: Kultali Tmc | কুলতলিতে তৃণমূল নেতাকে মারধর, অভিযোগের তীর সিপিএমের দিকে
সূত্রে খবর, এদিন কামাক্ষ্যা-আনন্দবিহার এক্সপ্রেসের অসংরক্ষিত কামরায় দুই যাত্রীর মধ্যে বচসা বাধে। সেই সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় সঞ্জয় সিং-এর। ৫ জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদও করে জিআরপি। এক যাত্রী বলেন, পর পর তিনটে গুলির শব্দ শোনা যায়। এরপর যাত্রীরা এদিক ওদিক পালানোর চেষ্টা করেন।
পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। কে বা কারা এবং কোন উদ্দেশ্যে গুলি চালাল তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।