কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: অচলাবস্থা কাটল। টানা দু’সপ্তাহ বিরোধী বিক্ষোভের পর সংসদে মূল্যবৃদ্ধি আলোচনা হল। লোকসভায় চার কংগ্রেস সাংসদের সাসপেনশন প্রত্যাহারের পরই বরফ গলল। এর আগে অবশ্য দিনের শুরুতেই লোকসভা এবং রাজ্যসভা বিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল হয়। সঞ্জয় রাউতের গ্রেফতারির ঘটনায় কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব হন বিরোধীরা। তাঁদের দাবি, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলিকে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করছে শাসক শিবির। এই মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে আলোচনা চলার সময়েই ওয়াকআউট করে কংগ্রেস।
বিরোধী বিক্ষোভে বেলা দুটো পর্যন্ত মুলতবি হয়ে যায় লোকসভা। সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী বলেন, মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে আলোচনা করতে সরকার প্রস্তুত। সোমবার লোকসভা এবং মঙ্গলবার রাজ্যসভায় আলোচনা হবে। এরপর সোমবার দুপুরে লোকসভা বসলে চার সাংসদের সাসপেনশন প্রত্যাহার করে নেয় সরকার। অধ্যক্ষ ওম বিড়লা বলেন, ‘সাংসদরা যেন সভায় নিয়মকানুন মেনে চলেন।’ সভার ভিতর কোনও রকম প্ল্যাকার্ড নিয়ে ঢুকতেও নিষেধ করেন তিনি।
মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে আলোচনা শুরু হলে কংগ্রেস সাংসদ মণীশ তিওয়ারি বলেন, ‘গত আট বছরে দেশের অর্থনৈতিক ধাঁচা একেবারে বেহাল হয় পড়েছে। এর কারণ সরকারের ভুল আর্থিক নীতি। মোদি সরকার দেশের সাধারণ মানুষের পকেট কেটে কোষাগার ভরতি করেছে। আর তাতেই বিপাকে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। বাজেটের লক্ষ্যমাত্রা পূরণে সমস্ত নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বাড়িয়েছে সরকার। আর গৃহস্থের বাজেট ধ্বংস হয়ে গিয়েছে।’
জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে মোদি সরকারকে নিশানা করে তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূল সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদারের বক্তব্য, ‘রান্নার গ্যাসের আকাশছোঁয়া দাম গৃহস্থের মাসের খরচে প্রভাব ফেলেছে। সরকার সাধারণ মানুষকে কাঁচা, রান্না না করা খাবার খেতে বাধ্য করছে।’
সরকারের হয়ে উত্তর দিয়েছেন বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে। ভারতের সঙ্গে তিনি প্রতিবেশী দেশ শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ, ভুটানের আর্থিক নীতি এবং সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার তুলনা টেনেছেন। নিশিকান্ত দুবে বলেন, ‘প্রতিবেশী দেশগুলিতে মূল্যবৃদ্ধি ঊর্ধ্বমুখী। সাধারণ মানুষেরা চাকরি হারাচ্ছেন। আর ভারতের গরিব সাধারণ মানুষ দু’বেলা খাবার নিখরচায় পাচ্ছেন।’ এ জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ধন্যবাদ-যোগ্য বলে মনে করেন নিশিকান্ত দুবে।