পটনা, ১৩ অগাস্ট : স্বাধীনতা দিবসের পর দিনই নতুন মন্ত্রিসভা ঘোষণা করবেন নীতীশ কুমার। মোটামুটি যে দিকে নীতীশ –তেজস্বী যাদবের সমীকরণ এগিয়ে চলেছে তাতে উপমুখ্যমন্ত্রী এবং বিধানসভার অধ্যক্ষ ছাড়াও ১৬টি মন্ত্র পেতে পারে আরজেডি। যদিও অধ্যক্ষের পদটি এখনও কংগ্রেসের সঙ্গে দর কষাকষি চলছে। অন্যদিকে, নীতীশ মুখ্যমন্ত্রী হলেও তাঁর দলের আরও ১৩ জন মন্ত্রী হতে পারেন। কংগ্রেস থেকে তিন-চার জন মন্ত্রী হতে পারেন। মন্ত্রী হতে পারেন সিপিএম, সিপিআই এবং সিপিআইএমএল থেকেও।
দুর্নীতি, রাজনীতিতে দুর্বৃত্তায়নের অভিযোগে এক নয় একাধিকবার লালুপ্রসাদ যাদব এবং তাঁর কনিষ্ঠ পুত্র তেজস্বী যাদবের সঙ্গত্যাগ করার পর ফের আরজেডির আশীর্বাদ মাথায় নিয়েই মুখ্যমন্ত্রী পদে হয়েছেন নীতীশ কুমার। বিহারকে জঙ্গলরাজ থেকে আধুনিক নগরে পত্তনকারী মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের প্রতি সমর্থন দিচ্ছে আরজেডি, কংগ্রেস ও বাম দলগুলি। বিজেপি তলেতলে কোটি কোটি টাকার টোপ দিয়ে নীতীশের দল ভাঙানোর চেষ্টা করছিল, এই অভিযোগে জেডিইউ-বিজেপির মধ্যে মন কষাকষি শুরু হয়। সেটাকেই অস্ত্র হিসেবে প্রয়োগ করেন তেজস্বী। ধীরে ধীরে দুদলের সম্পর্ক তলানিতে এসে ঠেকে। তা স্পষ্ট হয়, দিল্লিতে নীতি আয়োগের বৈঠক এনডিএ শরিক নীতীশ কুমার বয়কট করায়।
আপাতত নীতীশ কুমারের হাতেই মুখ্যমন্ত্রিত্ব সঁপে দেওয়া হলেও এটাই চিরকালীন নয়। একদা সাপে-নেউলে সম্পর্কের দুই দলই ২০২৫ সালের মধ্যে ক্ষমতা হস্তান্তরের বিষয়ে একমত হয়েছে। ঠিক হয়েছে, আগামী ২০২৪ সাল পর্যন্ত নীতীশ কুমারই মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে কাজ চালাবেন। কিন্তু, বিধানসভা ভোট অর্থাৎ ২০২৫-এর আগেই ক্ষমতা হস্তান্তর হবে তেজস্বীর কাছে। ২০২৫ সালের বিধানসভা ভোটে এই জোট লড়াই করবে তেজস্বী যাদবের নেতৃত্বে।