কেশপুর: শুক্রবার স্কুলে অনুপস্থিত ছিল অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রী (student)৷ ওই ছাত্রীর অনুপস্থিতির কারণ খুঁজতে গিয়ে জানা যায়, গতকাল রাতে অভিভাবকেরা তার বিয়ে দিয়ে দিয়েছে৷ এরপর স্থানীয় কন্যাশ্রী ক্লাবের সদস্যারা পাত্র স্থানীয় এক যুবকের বাড়ি ঘেরাও করে৷ ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুরের (West Midnapore) কেশপুরে৷ সূত্রের খবর, স্থানীয় গোলাড় সুশীলা বিদ্যাপীঠের ছাত্রী ওই নাবালিকা৷
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কন্যাশ্রী ক্লাবের (Kanyashree) সদস্যারা পাত্রের বাড়ি ঘেরাও করে নাবালিকাকে তাঁদের হাতে তুলে দেওয়ার দাবি জানালে পাত্রর বাড়ি থেকে জানানো হয়, ওই নাবালিকা (girl) এখানে নেই৷ এর কিছুক্ষণ পরে নাবালিকার হদিশ মেলে নিজের বাড়িতেই৷ এরপর নাবালিকা জানায়, বাবা-মা বিয়ের (marriage) তোড়জোড় করায় মাসির বাড়িতে চলে গিয়েছিল সে৷ ওই নাবালিকা এও জানায়, সে স্কুলের পড়া চালিয়ে যেতে ইচ্ছুক৷
আরও পড়ুন: Flyover Accident: মা উড়ালপুলে দুর্ঘটনা, আহত ৫ জন, আশঙ্কাজনক ১
নাবালিকার বিয়ের খবর জানতে পেরে হস্তক্ষেপ করেছে প্রশাসনও৷ সূত্রের খবর, নাবালিকার বিয়ের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়েছেন কেশপুর থানার পুলিশকর্মী (police) এবং বিডিও অফিসের (BDO office) কর্মীরা৷ হদিশ মেলার পরে এদিন ইউনিফর্ম পরে স্কুলে ক্লাস করেছে ওই নাবা্লিকা৷
প্রশাসন জানিয়েছে, বিডিও অফিসের কর্মীরা অষ্টম শ্রেণির ওই নাবালিকার বাবা-মায়ের কাছ থেকে লিখিত মুচলেকা আদায় করেছে, সাবালিকা না হলে তাঁরা মেয়ের বিয়ে দেবেন না৷ লেখাপড়া করাবেন৷ অন্যদিকে, কেশপুর থানার পুলিশ (police) ওই ছাত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে৷ অবশ্য ওই নাবালিকার বাবা মেয়ের বিয়ে দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন৷ তিনি বলেছেন, মেয়ে মাসির বাড়িতে ছিল৷
গোলাড় সুশীলা বিদ্যাপীঠের শিক্ষিকা (teacher) লিপিকা দাস বলেন, এর আগেও কন্যাশ্রী ক্লাব নাবালিকা বিবাহ রুখে দিয়েছে৷ এই কাজের জন্য রাজ্যস্তরে স্বীকৃতিও পেয়েছে৷